২০২৩ সালের বুকার প্রাইজ জিতলেন আইরিশ লেখক পল লিঞ্চ। রবিবার দিন তিনি তাঁর উপন্যাস প্রফেট সংয়ের জন্য এই পুরস্কার জয় করেন। ৪৬ বছরের পল লিঞ্চের সঙ্গে আরও পাঁচজন শর্টলিস্টেড হয়েছিলেন। লন্ডনের এই বিশেষ অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে জন্য এবার পল লিঞ্চ ছাড়াও আরও পাঁচজন ছিলেন।
পল লিঞ্চ হলেন পঞ্চম আইরিশ লেখক যিনি কিনা এই পুরস্কারে সম্মানিত হলেন, জিতলেন বুকার প্রাইজ। তাঁর আগে এই পুরস্কার পেয়েছেন সলমন রুশদি, মার্গারেট অ্যাটউড, হিলারি ম্যান্টেল।
পুরস্কার নিতে উঠে লিঞ্চ জানান, 'এই বইটা লেখাটা অত সহজ ছিল না।' এবারের বুকার প্রাইজ জিতে এদিন লন্ডনের এই অ্যাওয়ার্ড সেরিমনি থেকে তিনি ৫০ হাজার ইউরো পান। এই ঘটনার পর যে এই লেখকের সম্মান, খ্যাতি, পরিচিতি সবটাই অনেক বেড়ে গেল সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
আরও পড়ুন: ফসিলস ঝড়ের সাক্ষী রইলেন মধুমিতা-রাজদীপরা, রূপমের গানে জমিয়ে হেড ব্যাং অনিন্দ্যর
আরও পড়ুন: জামাই রণবীরের প্রশংসায় পঞ্চমুখ মহেশ ভাট, বললেন, 'ও এই দুনিয়ার সর্বশ্রেষ্ঠ বাবা'
লিঞ্চের এই বইতে উঠে এসেছে ডাবলিনের আগামী দিনে কী ঘটতে চলেছে সেই কথা। এক মায়ের গল্প ধরা পড়েছে যিনি তাঁর চার সন্তানকে বাঁচাতে চাইছেন একনায়কতন্ত্র সরকারের থেকে। মজার বিষয় হল এই বইতে কোনও প্যারাগ্রাফ নেই। এটাই এই বইয়ের এবং লেখকের বিশেষত্ব। লিঞ্চের এটা পঞ্চম বই যেখানে কোনও প্যারাগ্রাফ নেই। এই বইয়ের বিষয়ে এদিন লেখক আরও বলেন, 'আমি যখন বইটা লিখছি তখন আমার অন্দরের বিবেক সম্পন্ন দিক আমায় বারবার বলেছিল যে আমি এটা লিখে আমার কেরিয়ার নষ্ট করছি। তবুও ছাড়তে পারিনি এই বইটা লেখা। আমি জানতাম আমায় এটা যেভাবেই হোক লিখতে হবে।'
এই বইতে সামাজিক এবং রাজনৈতিক টানাপোড়েন সুন্দর ভাবে ধরা পড়েছে বলেও জানানো হয়। গল্পটা পড়তে পড়তে পাঠকরা এতটাই মোহিত হয়ে যাবেন যে এটাকেই বাস্তব বলে তাঁরা ধরে নেবেন, এমনকি এখানে যে সতর্কবাণী দেওয়া আছে সেটাও তাঁরা ভুলে যাবেন। এমনটাই জানিয়েছেন বিচারকমণ্ডলীর অন্যতম বিচারক কানাডিয়ান লেখক এসি এডুজ্ঞান।