এই মুহূর্তে কেরিয়ারের শিখরে রয়েছেন আলিয়া ভাট। মাত্র ২৯ বছরেই মা হওয়ার সিদ্ধান্ত রণবীর ঘরণীর কেরিয়ারে বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি। মেট গালার পর এবার বিশ্বের অন্যতম নামী লাক্সারি ব্র্যান্ডের দূত হিসাবে দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিওলে হাজির রাহার মা। Gucci-র গ্লোবাল অ্যাম্বাসেডর অভিনেত্রী। দিন কয়েক আগেই এই নতুন পালক যোগ হয়েছে আলিয়ার মুকুটে। ইতালির এই জনপ্রিয় ফ্যাশন সংস্থার অন্যতম মুখ হিসাবেই ‘গুচি ক্রুজ ২০২৪’ ফ্যাশন শো-তে অংশ নিলেন বলিউডের ‘গঙ্গুবাই’।
ফ্যাশানিস্তা আলিয়ার পোশাক সকলের মনে ধরলেও সবকিছুকে ছাপিয়ে যায় তাঁর হাতের স্বচ্ছ ব্যাগ। রাহা-জননীর পরনে এদিন ছিল কালো রঙা শর্ট ড্রেস, হাতে গুচি জ্যাকি ১৯৬১-র বিশেষ এডিশনের স্বচ্ছ ব্যাগ। আলিয়ার এই বহু মূল্যবান ব্যাগ ঘিরে হাসির রোল উঠল নেটপাড়ায়। ট্রান্সপ্যারেন্ট ব্যাগটি ছিল সম্পূর্ণ খালি। সেই দেখেই চোখ কপালে নেটিজেনদের। কেউ ট্রোল করেন, ‘আলিয়ার মাথার মতোই ব্যাগটাও ফাঁকা’। আবার কেউ কটাক্ষ করে লেখেন, ‘ওটা ব্যাগ না জলের বোতল’। মহিলারা হাতে পার্স তো প্রয়োজনীয় জিনিস ভরতেই ব্যবহার করেন, হাতে খালি ব্যাগ রাখবার মানেটা কী? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন অনেকেই। অবশেষে এই বিদ্রুপ নিয়ে জবাব দিলেন আলিয়া ভাট। তাও একদম নিজের মতো করে।
আলিয়া ইনস্টাগ্রামের দেওয়ালে অনুষ্ঠানের একগুচ্ছ ফ্রেমবন্দি মুহূর্ত শেয়ার করে নেন। সঙ্গে বিবরণীতে লেখেন, ‘হ্যাঁ, ব্যাগটা একদম ফাঁকাই ছিল’। আলিয়ার শেয়ার করা ছবিতে কখনও চর্চিত ফাঁকা ব্যাগ হাতে পোজ দিতে দেখা গেল নায়িকাকে, আবার কখনও অনুষ্ঠানে শামিল অপর তারকাদের সঙ্গে হ্যাং আউট করতে দেখা গেল বলি নায়িকাকে। কে-পপ স্টার IU-এর পাশে বসে গল্প করতে দেখা গিয়েছে আলিয়াকে। সেই ছবি দেখে মন্ত্রমুগ্ধ গোটা দেশ। কে-পপ স্টারদের জনপ্রিয়তা ভারতে লাগামছাড়া।
এদিন আলিয়ার সাজ ছিল একদম অন্যমাত্রার। কালো রঙা ফুটো-যুক্ত শর্ট ড্রেসের সঙ্গে রুপোলি রঙের দুল ঝলমল করল তাঁর কানে। পায়ে পরেছিলেন কালো রঙা প্ল্যাটফর্ম হিল। মাঝখানে সিঁথি, চুলে পনিটেল। চোখে ন্যুড আই শ্যাডো, ব্ল্যাক আইলাইনার, কাজল, মাসকারার ব্যবহারে স্মোকি লুক দিয়েছিলেন নায়িকা। একদম হালকা মেকআপেই এদিন পাওয়া গেল আলিয়াকে।
আলিয়াকে শেষ দেখা গিয়েছে সুপারহিট ছবি ‘ব্রহ্মাস্ত্র পার্ট ১: শিবা’তে। শীঘ্রই হলিউডে আত্মপ্রকাশ করবেন আলিয়া। নেটফ্লিক্সে মুক্তি পাবে তাঁর ডেবিউ ছবি ‘হার্ট অফ স্টোন’। বলিউডে আলিয়ার আগামী রিলিজ ‘রকি অউর রানি কি প্রেম কাহিনি’।