বচ্চন পরিবারের সঙ্গে নাকি একেবারেই বনিবনা হচ্ছে না ঐশ্বর্যর। অভিষেক-অ্যাশের ডিভোর্স নিয়েও নানান কানাঘুষো। এর মাঝেই জীবনের আরও একটা বসন্ত পার করে ফেললেন অভিষেক বচ্চন। রবিবার রাত ১২টা পেরোতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় শুভেচ্ছায় বানভাসি জুনিয়র বি। তবে সবচেয়ে আদুরে শুভেচ্ছা এসেছে তাঁর ‘পা’ অমিতাভ বচ্চনের তরফেই।
এদিন অভিষেককে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে ছেলেকে নিজের ‘চিরস্থায়ী ভালোবাসা’ বলে উল্লেখ করেন অমিতাভ। কদিন আগেই নাতনি নভ্যার পডকাস্টে ছেলে নয়, মেয়ে শ্বেতাই সব এ কথা বলে বসেছিলেন জয়া। আর ছেলের জন্মদিনে ভালোবাসা উজার করে দিলেন অমিতাভ। আদর করে অভিষেককে ‘ভাইয়ু’ ডাকেন অমিতাভ।
ছেলের ফ্যান ক্লাবেরতরফে শেয়ার করা একটি পুরোনো ভিডয়োর কোলাজ শেয়ার করে অমিতাভ লেখেন, ‘ভাইয়ু তুমি সেরা… তোমার মধ্যে যে বৈচিত্র রয়েছে, সৎভাবে কোনও কাজ করার চেষ্টা তা কখনও বৃথা যাবে না.. কখনও না! আমার চিরস্থায়ী ভালোবাসা….’।
সিমি গেরেওয়ালের শো-তে ছেলে অভিষেককে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছিলেন। সেটিরই একটি অংশ রয়েছে এই ভিডিয়োতে। সেখানে অভিনেতাকে বলতে শোনা গেল, ‘যখন ছেলেকে পারফর্ম করতে দেখি আমি আবেগঘন হয়ে যাই। আর সেটা আজকে থেকে নয়। যখন ছোট্ট বয়সে স্টেজে ওকে দেখতাম সেই সময় থেকেই। তখনও ওর ভিডিয়ো রেকর্ড করতাম, বাড়িতে এসে সেগুলো দেখতাম। আমি আর জয়া খুব ইমোশন্যাল হয়ে পড়তাম সেইসব দেখে’।
ভিডিয়োতে দেখা মিলল ঐশ্বর্য রাই বচ্চনের। কেমনভাবে কাছের বন্ধু থেকে জীবনসঙ্গী হয়ে ওঠেন তাঁরা, জানান ঐশ্বর্য। এছাড়াও শাহরুখ খান, প্রয়াত ঋষি কাপুর অভিষেকের অভিনয় দক্ষতার ভূয়সী প্রশংসা করেন।
স্টারডমের নিরিখে বাবার ধারেকাছে ঘেঁষতে না পারলেও, প্রায় ২৩ বছর ইন্ডাস্ট্রিতে কাটিয়ে ফেলেছেন অভিষেক বচ্চন। কেরিয়ারের শুরু থেকেই বাবার সঙ্গে তুলনা টানা হয়েছে তাঁর। বচ্চন পুত্র হওয়ার বোঝা আজীবন বয়ে বেড়াতে হলেও সিনেপ্রেমীদের নিজের জাত চিনিয়েছেন অভিষেক। ‘যুবা’, ‘গুরু’, ‘রাবণ’,'পা'-সহ অজস্র ছবিতে অভিষেকের অভিনয় মুগ্ধ করেছে। বক্স অফিসে নায়কের শেষ রিলিজ ঘুমর সাড়া না ফেললেও অভিষেক নিজ গুণে উজ্জ্বল।
কেরিয়ারের শুরুর দিকে বাবার সঙ্গে একাধিক ছবিতে স্ক্রিন শেয়ার করার সৌভাগ্য হয়েছে অভিষেকের। করণ জোহরের ‘কভি অলবিদা না কহনা’, যশরাজ ফিল্মসের ‘বান্টি অউর বাবলি’ থেকে শুরু করে রাম গোপাল বর্মার ‘সরকার’, ‘সরকার রাজ’-এর মতো ছবিতে একত্রে ধরা দিয়েছেন রিয়েল লাইফ পিতা-পুত্র জুটি। ঘুমর-এ স্পেশ্যাল অ্যাপিয়ারেন্সে দেখা মিলেছিল বিগ বি-র।
১৪ বছর পরেও একসঙ্গে পর্দায় ধরা দেননি বাবা-ছেলের জুটি। কেন এত লম্বা অপেক্ষা? অভিষেকের কথায়, অভিনেতা হিসাবে পরস্পরের সঙ্গে কাজ করাটা তাঁরা এনজয় করেন। তবে একইসঙ্গে কাজ সম্পর্কে দায়িত্বশীল তাঁরা। পিটিআইকে মাস কয়েক আগে অভিনেতা জানান, ‘আমরা দুজনেই একসঙ্গে কাজ করতে ভালোবাসি। দারুণ এনজয় করি। কিন্তু অভিনেতা হিসাবে দর্শকদের প্রতি আমাদের কিছু দায়িত্ব রয়েছে। যেহেতু আমরা ইতিমধ্যেই কিছু স্মরণীয় ছবিতে কাজ করেছি, তাই আমরা চাই সেই ধারা বজায় রাখতে।’