সম্পর্কের নতুন নাম সিচুয়েশনশিপ! নতুন প্রজন্মের কাছে অতি-পরিচিত শব্দ এটি। দুজনে বন্ধুর চেয়ে বেশি অথচ প্রেমিক-প্রেমিকা নন, এই ধরণের সম্পর্ককেই সিচুয়েশনশিপ বলা হয়। কফি উইথ করণের সেটে এসে সম্প্রতি আদিক্য রয় কাপুর বলেছেন তিনি ‘সিচুয়েশনশিপ’-এ রয়েছেন। কিন্তু চর্চিত প্রেমিকের কথা কাটলেন অনন্যা। আরও পড়ুন-'বিয়ের আগেই হানিমুনে!' টুইনিং পোশাকে এয়ারপোর্টে অনন্যা-আদিত্য, কটাক্ষ নেটপাড়ার
প্রেমের এই নতুন ভাবনার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে আপত্তি চাঙ্কি পাণ্ডে কন্যার। ইন্ডিয়া টুডে-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অনন্যা সটান বলেন, ডেটিং-এর এই নতুন ভাবনাকে অস্বীকার করেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ার জন্য বা লোক দেখানোর জন্য সম্পর্কের দেখনদারিকে সমর্থন করেন না তিনি।
ঠিক কী বলেছেন অনন্যা?
‘গহরাইয়াঁ’ অভিনেত্রীর কথায়, ‘আমি ঘৃণা করি সিচুয়েশনশিপকে। আমি এই শব্দটাই পছন্দ করি না। আমি কোনও ডেটিং অ্যাপে নেই, আমি সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের সম্পর্ক নিয়ে কথা বলি না। শুধুমাত্র সোশ্যাল মিডিয়ার জন্য অন্য রিসেপশনশিপ স্টেটাসকে তুলে ধরতে আপত্তি রয়েছে’।
সিচুয়েশনশিপ প্রসঙ্গে আদিত্য
কফি উইদ করণে সঞ্চালক সরাসরি আদিত্যর কাছে প্রশ্ন রাখেন, ‘তুমি কি অনন্যাকে ডেট করছো?’ জবাবে আদিত্য বলেন-'করণ তুমি নিজের শো-তে বলছো, আমাকে কোনও সিক্রেট জিগ্গেস করো না, (তাহলে) আমি মিথ্যে বলব না'। এরপর আদিত্যকে করণ মনে করান, এই কফি কাউচে বসেই অনন্যা নিজের নাম বদলে ফেলেছিলেন। জানিয়েছিলেন এখন তিনি ‘অনন্যা কয় কাপুর’। বলিউডের ‘নাইট ম্যানেজার’ জবাব দেন, ‘আমি আপাতত আদিত্য জয় কাপুর!’ ছাড়বার পাত্র নন করণ। তিনি পালটা জিগ্গেস করেন- ‘তাহলে কি তুমি মহানন্দে সিচুয়েনশিপে রয়েছো?’ অভিনেতার চটপট জবাব- ‘আমি আনন্দে রয়েছি’।
বিদেশে ছুটি কাটাচ্ছেন যুগলে
চাঙ্কি পাণ্ডে কন্যার সঙ্গে বলিউডের ‘নাইট ম্য়ানেজার’-এর রোম্যান্স এখন ওপেন সিক্রেট। ক্রিসমাস শেষে একসঙ্গে বিদেশে পাড়ি দিয়েছেন আদিত্য-অনন্যা। গত বুধবার সাত সকালেই মায়ানগরী ছেড়ে অজানা গন্তব্যে উড়ে গিয়েছেন। নতুন বছরকে একসঙ্গেই স্বাগত জানাবেন তাঁরা। গত ২৭শে ডিসেম্বর মুম্বই এয়ারপোর্টে লেন্সবন্দি হন জুটিতে। এয়ারপোর্টে একসঙ্গে নয়, আলাদাই পাপারাৎজিদের ক্যামেরায় বন্দি হয়েছিলেন তাঁরা।
প্রসঙ্গত, গত বছর কৃতি শ্যাননের দিওয়ালি পার্টিতে দুজনকে একসঙ্গে দেখা গিয়েছিল তারপর থেকেই শুরু হয় প্রেমের গুঞ্জন। জল্পনা অনন্যার ২৫তম জন্মদিন সেলিব্রেট করতে কিছুদিন আগেই মলদ্বীপ উড়ে গিয়েছিলেন তাঁরা।