মুক্তির পরে বক্স অফিসে সাংঘাতিক কামাল করে উঠতে না পারলেও পরবর্তী সময়ে কাল্ট ছবির তকমা এঁটে গেছে 'নায়ক' ছবির নামের সঙ্গে। এই ছবি দেখে মুগ্ধ হয়নি এমন দর্শক হাতে গুণে বলে দেওয়া যায়। একজন সাধারণ মানুষের এক দিনের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হয়ে ওঠা এবং তাঁর কর্মকান্ডের গল্পই বলে এই ছবি।
২০০১ সালের ৭ সেপ্টেম্বর বড়পর্দায় 'রোবট' ছবি খ্যাত পরিচালক শঙ্করের নির্দেশনায় মুক্তি পেয়েছিল 'নায়ক'। কেন্দ্রীয় চরিত্রে অনিল কাপুর ছাড়াও এই ছবিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় দেখা গেছিল অমরীশ পুরী, রানি মুখোপাধ্যায়, পরেশ রাওয়াল, জনি লিভারকে। ছবি মুক্তির ২০ বছরের পূর্তি উপলক্ষে স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে অনিল কাপুর জানিয়েছেন এই ছবির কেন্দ্রীয় চরিত্রের প্রস্তাব তাঁর কাছে প্রথমে আসেনি। অর্থাৎ সোজা কথায় তাঁকে ভেবে এই ছবির চিত্রনাট্য মোটেই লেখেননি শঙ্কর। এই ছবির মুখ্যচরিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাব প্রথম আমির খান এবং তারপর শাহরুখ খানের কাছে রেখেছিলেন পরিচালক। তাঁরা নাকচ করার পর সুযোগ এসেছিল অনিলের কাছে। এদিন বর্ষীয়ান বলি-অভিনেতা জানালেন এই ছবিতে কাজ করার সুযোগ পেয়ে তিনি কিন্তু বেশ খুশিই হয়েছিলেন তখন।
এখানেই না থেমে 'নায়ক' ছবির তারকা আরও জানান যে এই ছবির শ্যুটিং চলাকালীনই তিনি টের পেয়েছিলেন যে জনমানসে বিপুল প্রভাব ফেলবে এই ছবি। তবে ঘুনাক্ষরেও ভাবেননি যে এত সাড়ম্বরে 'নায়ক'-কে ভালোবেসে গ্রহণ করবে দর্শকের দল। আর তা চলবে বছরের পর বছর ধরে। অনিলের কথায়, 'আমার মনে হয় ছবির গল্পটাই এত জোরদার ছিল সঙ্গে ওরকম ঠাসবুনোট চিত্রনাট্য যে দর্শকদের তা ভালো না লেগে থাকতে পারেনি। তার সঙ্গে দেশের সাধারণ মানুষের মানসিকতা, রাজনীতি সব মিলিয়ে ছবিতে ছিল বাস্তবতার ছোঁয়াও। সেসবও নিশ্চয়ই মুগ্ধ করেছে সবাইকে'।