এই মুহূর্তে টলিপাড়ার মোস্ট ওয়ান্টেড নায়ক তিনি! পুজোর বক্স অফিসে সুপারহিট ‘এসিপি বিজয় পোদ্দার’ অনির্বাণ, অন্যদিকে ওটিটি-তে ‘দুর্গে রহস্য’ নিয়ে হাজির হয়েছেন তারকা। সঙ্গে জানিয়েছেন, এটাই তাঁর শেষ ব্যোমকেশ। আর সত্যান্বেষীর চরিত্রে অভিনয় করবেন না। তবে সবকিছু আলোচনাকে ছাপিয়ে গিয়েছে অনির্বাণের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে ওঠা গুঞ্জন।
পুজোর ঠিক আগেই টলিপাড়ায় ফিসফিসানি ঘর ভাঙছে অনির্বাণের। দীর্ঘদিন প্রেম করার পর ২০২০ সালের নভেম্বরে প্রেমিকা মধুরিমা গোস্বামীর সঙ্গে সই-সাবুদ করে বিয়ে করেছিলেন নায়ক। সেই বিয়ে নিয়ে কম কটাক্ষ শুনতে হয়নি তাঁদের। অনেকের চোখেই অনির্বাণের পাশে ‘বেমানান’ মধুরিমা। তবুও সুখেই চলছিল দিনযাপন। হঠাৎ করেই নায়কের সঙ্গে বনিবনা হচ্ছে না মধুরিমার, নেপথ্যে উঠে এসেছে তৃতীয় ব্যক্তির নামও।
ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কোনওদিনই আলোচনা পছন্দ নয় অনির্বাণের। প্রেম করার সময় থেকেই তাঁর এই লুকোছাপা কারুর অজানা নয়। ডিভোর্সের রটনা নিয়ে প্রথমবার মুখ খুললেন অভিনেতা। এই সময়কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, ‘সেপারেশন নিয়ে একেবারেই কিছু বলতে চাই না। এটা আমার সঙ্গে জুড়ে থাকা এক ব্যক্তি (মধুরিমা) এবং তার সঙ্গে জুড়ে থাকা কিছু ব্যক্তির বিষয়। অন্তর থেকে চাইব, এটা হোক না হোক, বা যাই হোক সেটা যেন আমি আমার মধ্যে সমাধান করতে পারি।’
অনির্বাণ আরও যোগ করেন, ‘হয়তো কোনওরকম অভব্য আচরণ করব না কারুর সঙ্গে। শালীনতা বজায় রাখা দায়িত্ব। কিন্তু যাদের নাম জড়িয়ে গিয়েছে, তাদের কষ্ট,অসুবিধা, অস্বস্তি- যতটা কম করা যায় সেই চেষ্টা করব’।
মধুরিমা পুরোদস্তুর রঙ্গমঞ্চের মানুষ। মূকাভিনয়ের সঙ্গে যুক্ত অনির্বাণ ঘরণী। এক দশক পুরোনো তাঁদের প্রেম সম্পর্ক। ‘হাতিবাগান সঙ্ঘারাম’-এ একসঙ্গে বেশ কিছু নাটকে কাজ করেছেন অনির্বাণ-মধুরিমা। মূকাভিনয় নিয়ে বিস্তর পড়াশোনা রয়েছে মিসেস ভট্টাচার্যর। অনির্বাণ-মধুরিমা দুজনেই রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যায়ের প্রাক্তনী।মধুরিমার বাবা পদ্মশ্রী সম্মানপ্রাপ্ত মূকাভিনয় শিল্পী নিরঞ্জন গোস্বামী। ‘হস্তগত’ আর ‘উদারনীতি’ বলে দু’টো নাটকে একসঙ্গে কাজ করেছেন অনিবার্ণ-মধুরিমা।
সোশ্যাল মিডিয়ায় কাজ বাদে কোনও পোস্টই করেন না অনির্বাণ। সেই পথেই হাঁটেন মধুরিমাও। আশ্চর্যের বিষয় হল ইনস্টাগ্রামে মধুরিমা অনির্বাণকে ফলো করলেও নায়ক কিন্তু তাঁর স্ত্রীকে অনুসরণ করেন না! মধুরিমা-অনির্বাণ শেষবার একসঙ্গে জনসমক্ষে এসেছিলন অভিনেত্রী শাঁওলি চট্টোপাধ্যায় ও প্রতীক দত্তের বিয়ের অনুষ্ঠানে। দুজনেই ঘনিষ্ঠ বন্ধু অনির্বাণ-মধুরিমার।