রবিবার, ১৪ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয় গেল WBFJA বা ওয়েস্ট বেঙ্গল ফিল্ম জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের অ্যাওয়ার্ড। এখানেই এবার মৃণাল সেনের জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে একটি বিশেষ পুরস্কার দেওয়া হয় আর সেটি পান তাঁরই যোগ্য উত্তরসূরি অঞ্জন দত্ত, যাঁকে তিনি নিজের হাতে করে তৈরি করেছিলেন।
এদিন এই অনুষ্ঠানের মঞ্চে মৃণাল সেনের ছেলে বা অঞ্জন দত্ত কেউই উপস্থিত থাকতে পারেননি। কিন্তু তাঁরা একে অন্যের জন্য বার্তা পাঠিয়েছিলেন। সেখানেই মৃণাল সেনের ছেলে কুণাল সেন বলেন, ‘বাবার যাঁরা বন্ধু ছিলেন তাঁরা অনেকেই বাবার মতো ছিলেন না। তাঁদের মধ্যে অনেক সময়ই বেসিক কিছু তফাৎ থাকতই, সেটা অর্থনৈতিক ভাবে হোক বা সামাজিক ভাবে বা দর্শনগত ভাবে বা অন্য কিছু। তবুও অনেক সময় দেখেছি সেসব তফাৎকে ছাপিয়ে গিয়ে তাঁদের সঙ্গে বাবার একটা দারুণ বন্ধুত্ব তৈরি হতো।’
আরও পড়ুন: অমিতাভের হাতে সদ্যই অস্ত্রোপচার হয়েছে! সত্য প্রকাশ্যে এনে কী জানালেন অক্ষয় কুমারকে?
আরও পড়ুন: মা-বাবা না থাকলেই টুম্পার বাড়িতে কে আসেন? দিদি নম্বর ওয়ানে প্রেমিককে নিয়ে কী বললেন অভিনেত্রী?
তিনি এদিন আরও বলেন, 'অঞ্জনও ঠিক তাই। দুজনের মধ্যে অনেক তফাৎ ছিল। তবুও ওরা খুব ভালো বন্ধু হয়ে উঠেছিল একে অন্যের। আর স্তরে স্তরে সেই বন্ধুত্বের গভীরতা বেড়েছে। এই সম্মান যে ওকে দেওয়া হচ্ছে সেটা একেবারেই যোগ্য। ও বাবার মতো না হয়েও বাবার মতো।'
আরও পড়ুন: 'আমি তো তোমাকেই...' নূপুরের বাহুডোরে ইরা, রিসেপশনের পরই স্ত্রীর জন্য কী লিখলেন আমিরের জামাই?
অন্যদিকে অঞ্জন দত্ত এই সম্মান পেয়ে আপ্লুত। তিনি এদিন বলেন, 'মৃণাল সেন আমার জীবনে একটা বড় ঘটনা। আমার যখন ২৪ বছর বয়স, ওঁর তখন ৫৫-৫৬। তখন আলাপ হয় আমাদের। জোর করে আমাকে দিয়ে দুটো ছবিতে অভিনয় করান। ওঁর কাছেই অভিনয় শিখেছি। উনি আমার কাছে পৃথিবীর সিনেমার দরজা খুলে দিয়েছিলেন। পরবর্তীতে একসঙ্গে অনেক কাজ করেছি আমরা। উনিই আমায় শিখিয়েছিলেন সিনেমা বানাবে নিজের ইচ্ছেতে। WBFJA আমাকে যে সম্মান দিল তার জন্য আমি কৃতজ্ঞ।'