বাংলা কমার্শিয়াল ছবির মন্দা বাজার নিয়ে বরাবরই নানা কথা টলিউডে। তবে সেসবের ধার ধারেন না অঙ্কুশ হাজরা তা বুঝিয়ে দিয়েছে অভিনেতার নির্ভীক স্বভাব। স্পষ্টবাদী হিসেবে ধরা দিয়েছেন মির্জা মুক্তি পাওয়ার প্রথম থেকেই। একপ্রকার ঘরের টাকা ঢেলে বানিয়েছেন এই ড্রিম প্রোজেক্ট। ভালো করেই জানেন, ছবি তৈরিতে খরচ হওয়া ৪ লাখ পুরোপুরি ফিরবে না অ্যাকাউন্টে। তবুও, কথা দিয়েছেন আনবেন মির্জা ২-ও।
অনেকেই মির্জা নিয়ে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দিয়েছে। বিশেষ করে কিছু ইউটিউব চ্যানেলে তো ছবিকে রেটিং দেওয়া হয়েছে এক কিংবা দেড় স্টার। জঘন্য বলা হয়েছে ছবির চিত্রনাট্য, অভিনয়কে। যা নিয়ে সম্প্রতি মুখ খুলতে দেখা গেল অভিনেতাকে। জানালেন, ‘বাংলায় এখন অনেক ইউটিউবার আছে, যারা পজিটিভ রিভিউ দেওয়ার জন্য আমাদের ম্যানেজার দের কাছ থেকে টাকা চায়’। এখন প্রশ্ন, টাকা না পাওয়াতেই কি নেগেটিভ রিমার্ক ফেলেছে কেউ কেউ মির্জাতে?
আরও পড়ুন: মায়ের বান্ধবীকে বিয়ে বিরসার! পুলে খালি গায়ে বউকে জড়িয়ে লিখলেন, ‘বুকে বিদিপ্তা’
অনেকেরই দাবি দেব-জিতের মতো ফ্যানবেস নেই অঙ্কুশের। তাই মির্জার মতো ছবি বাজারে চলা মুশকিল। সাধারণত বাংলা ছবির ক্ষেত্রে বিশেষ করে বানিজ্যিক সিনেমার জন্য হিরোর মুখ দেখে হলে আসে দর্শক। সেকথা কার্যত মেনে নিতে দেখা গেল অঙ্কুশকেও। Sক সাক্ষাৎকারে বললেন, ‘আমার সিনেমা রিলিজ হলে পোস্টারে কোনও মালা পড়ে না, আমার কোনো ফ্যান ক্লাব-ও নেই। এবং আমার সিনেমাতে কর্পোরেট বুকিংও করা হয় না অন্যদের মতো।’
আরও পড়ুন: বিয়েতে পাননি সুখ! ‘পালিয়ে বিয়ে করায় মায়ের মন ভেঙেছিলাম’, স্বীকার করে নিলেন জিনাত
তবে মির্জা প্রমাণ করেছে, দক্ষিণের ছবির মতো অ্যাকশন, গল্পে টুইস্ট, বাংলাতেও আনা সম্ভব। একমাত্র জিৎ ছাড়া আজকাল আর কোনও নায়কই এই ধরনের সিনেমা বানানোর কথা ভাবেন না।
মির্জার বক্স অফিস
গত সপ্তাহের শেষে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দিয়ে অঙ্কুশ জানিয়েছিলেন, প্রথম সপ্তাহে বাংলা জুড়ে ৭৫ লক্ষ টাকার ব্যবসা করেছে মির্জা। যা ছবির বাজেটের চেয়ে অনেকটাই কম, মাত্র ১৭%। তবে অঙ্কুশ জানিয়েছেন, ছবির স্যাটেলাইট রাইটস এবং ডিজিট্যাল রাইটস বিক্রি করে প্রায় ৬০% টাকা পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: ‘আগে সবাই এই হাসিটা পছন্দ করত, এখন পাগল বলে’! মিম বানানো নিয়ে বক্তব্য রচনার
স্পষ্ট কথায় লিখে দেন, ‘আমার বিন্দুমাত্র বলতে সংকোচ নেই শুধুমাত্র থিয়েটার থেকে আমার পুরো লগ্নি করা টাকা উঠবে না। কারণ মির্জা অনেকটাই বড় বাজেটের ছবি, এখনকার মার্কেট অনুযায়ী কিন্তু দর্শক যে আমাকে ভরসা দিয়েছে আমি তাতে খুশি…মির্জা আমার ঘরে টাকা ফেরানোর ছবি নয়, বাংলা কর্মাশিয়াল ছবির প্রতি ভরসা ফেরানোর উদ্দেশ্যে করা ছবি।’