১৯৯১ সালে অনু আগরওয়ালকে এক ভয়ঙ্কর ঘটনার সামনে পড়তে হয়েছিল। ঘটনাটি মুম্বইয়ের ম্যারিন ড্রাইভে ঘটেছিল। হাজার হাজার মানুষ তাঁর গাড়ি ঘিরে ধরে তাতে আঘাত করতে শুরু করেছিল। সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, সেই প্রথমবার জীবনে তিনি অতটা ভয় পেয়েছিলেন। অভিনেত্রী বলেন তিনি কীভাবে তাঁর গাড়িটিকে ওখানেই ফেলে একটা ট্যাক্সি ধরে সেখান থেকে প্রাণে বেঁচে ফিরেছিলেন।
অনু আরও জানান তাঁর একটি চেরি লাল রঙের বড় গাড়ি ছিল যা ওই সময়ে ভারতে বেশ বিরল ছিল। এই ঘটনার বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে অনু জানান, যখনই সাধারণ মানুষ তাঁর এই গাড়ি দেখতে পেত, নিজেদের গাড়ি ছেড়ে তাঁর গাড়ির দিকে দৌড়ে আসত। যদিও তাঁর গাড়িতে কালো রঙের কাচ লাগানো ছিল তবুও সাধারণ মানুষ সেই গাড়ি দেখলেই চিনতে পারত বলে জানান অভিনেত্রী।
সিদ্ধার্থ কাননকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, 'ওরা আমার গাড়িতে মারতে শুরু করেছিল, আমার গাড়ির জানলায় শব্দ করে অনু অনু করে চিৎকার করছিল। আমার সঙ্গে সেদিন কোনও ড্রাইভার ছিল না। আমিই গাড়ি চালাচ্ছিলাম। আমার খালি মনে হচ্ছিল ওরা বুঝি আমার গাড়িটা ভেঙেই ফেলে আমায় বাইরে নিয়ে আসবে।' তিনি আরও বলেন, ' আমি বিশেষ ভয়টয় পাই না। কিন্তু সেদিন খুব ভয় পেয়েছিলাম। হাজার হাজার মানুষ আমার গাড়ি ধাক্কাছিল আর অনু অনু করে চিৎকার করছিল। আমি কোনও মতে অন্য দরজা দিয়ে গাড়ি থেকে নেমে একটি ট্যাক্সির দিকে ছুটে যাই। ওখানেই গাড়ি রেখে আমি ট্যাক্সি করে পালিয়ে আসি। আমি তাজে যাচ্ছিলাম, আমার সেখানে একটা মিটিং এবং ডিনার পার্টি ছিল। আমি যখন সেখানে পৌঁছাই, ওরা আমায় জিজ্ঞেস করে, কী হয়েছে আমার, আমার গাড়ি কোথায়? আমি তখন বলি ওটা ম্যারিন ড্রাইভেই রয়েছে। তখন তো আমরা কেউ মোবাইল ফোন ব্যবহার করতাম না। তখন যাঁদের সঙ্গে আমার মিটিং ছিল তাঁরা তাঁদের ড্রাইভারকে সঙ্গে করে নিয়ে গিয়ে আমার গাড়ি নিয়ে আসে। আমায় বাড়িতেও ছেড়ে দেয়।'
অনুকে দূরদর্শনের ধারাবাহিক ‘ইসি বাহানে’তে দেখা গিয়েছিল। এই ধারাবাহিকটি ১৯৮৮ সালে সম্প্রচারিত হতো। এরপর তিনি ১৯৯০ সালে ‘আশিকি’ ছবির মাধ্যমে বলিউড ডেবিউ করেন। এরপর তাঁকে ‘গজব তামাশা’, ‘জনম কুন্ডলি’, ‘রিটার্ন অব জুয়েল থিফ’, ইত্যাদি ছবিতে দেখা গিয়েছিল।