বাংলা নিউজ > বায়োস্কোপ > Sovan-Baisakhi: ‘উত্তমের পুরুষালি চেহারার খানিকটা শোভনের মধ্যে আছে… হাসিটা খুব ভালো’, পছন্দের মানুষকে নিয়ে অকপট বৈশাখী

Sovan-Baisakhi: ‘উত্তমের পুরুষালি চেহারার খানিকটা শোভনের মধ্যে আছে… হাসিটা খুব ভালো’, পছন্দের মানুষকে নিয়ে অকপট বৈশাখী

উত্তম কুমারের সঙ্গে শোভনের মিল খুঁজে পান বৈশাখী। 

শোভন-বৈশাখীর ‘প্রেম’ বরাবরই থাকে চর্চায়। এক সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথোপকথনের সঙ্গে শোভনের সঙ্গে কোন নায়কের মিল খুঁজে পান প্রশ্নে, সোজা মহানায়ক উত্তম কুমারের নাম নিলেন বৈশাখী। সঙ্গে স্পষ্ট করে জানালেন, উত্তম আর শোভনের মধ্যে কী মিল দেখতে পান তিনি!

শোভন আর বৈশাখী নামটা বর্তমানে একই সঙ্গে উচ্চারিত হয়। একে-অপরের পরিপূরক শোভন চট্টোপাধ্যায় আর বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। বিয়েটা তাঁদের কাছে একসঙ্গে থাকার মাপকাঠি নয়। বরং একে-অপরকে ভালোবাসেন, একে-অপরের যত্ন নেন, একে-অপরের সঙ্গে খুশিতে থাকেন, এটাই তাঁদের কাছে একসঙ্গে থাকার সবচেয়ে বড় কারণ। যদিও বৈশাখী নিজেই জানিয়েছেন, শোভন আর রত্নার ডিভোর্সটা হয়ে গেলেই তাঁরা বিয়ে করবেন। সেই স্বপ্নই দেখেন তাঁরা।

কিন্তু শোভনকে দেখলে কোন নায়কের সঙ্গে মিল খুঁজে পান বৈশাখী? শাহরুখ, সলমন আমির নাকি দেব, জিৎ, অঙ্কুশ। এই প্রশ্নের জবাবে সিটি সিনেমাকে বৈশাখী বছরখানেক আগে জানিয়েছিলেন, ‘শাহরুখের সিনেমা আমার খুব ভালো লাগে। সলমনের সিনেমা কম দেখেছি। ম্যায়নে প্যায়র কিয়াটা ১৭-১৮বার দেখেছি। আমিরকেও ভালো লাগে। শোভনকে না কোনও সিনেমা আর্টিস্টের সঙ্গে তুলনা করা চলে না। তবে কারও ব্যক্তিত্বের সঙ্গে মিল খুঁজে পাই তাহলে উত্তম কুমার। উত্তম কুমারের কিছু হাবভাব, অবশ্যই তা পর্দার, মিল খুঁজে পাই। ব্যক্তি উত্তম কুমারকে তো আমি চিনি না। তা নিয়ে আমার কোনও জানার ইচ্ছেও নেই। ওই সময়কার বাঙালির যে পুরুষালি চেহারা তা শোভনের মধ্যে আছে।’

‘তবে হ্যাঁ উত্তম কুমারের হাসি আর তাকানোটা কিলিং। সেটার সঙ্গে নিশ্চয়ই শোভনের তুলনা চলে না। তবে হ্যা, শোভনের হাসিটাও আমার খুব ভালো লাগে’, আরও বলেন বৈশাখী।

এরপর জানান, তাঁর আর শোভনের জীবন নিয়ে কখনও বই লেখা হলে বা সিনেমা হলে সেটার নাম রাখবেন ‘শোভন বৈশাখীর অন্দরমহল’। বৈশাখীর কথায়, ‘আসলে ঘরে ঢুকে এলে তো আর অন্দরমহলে ঢোকা হয় না। আমাদের জীবনটা কেমন, আমাদের সম্পর্কটা কেমন, কত ঘাত-প্রতিঘাত গিয়েছে কেউ জানে না। আমার নিজেরই ইচ্ছে আছে বই লেখার।’

এরপর জানান, শোভনের চরিত্রে কাউকে দেখতে ইচ্ছে হলে তিনি প্রসেনজিৎকে ভাবতে পারেন। তাঁর যুক্তি ‘দেব-অঙ্কুশরা তো খুব ছোট। একটি ম্যাচিওর কাউকে লাগবে’। আর তাঁর চরিত্রে দেখতে চান বাংলাদেশের অভিনেত্রী বাঁধনকে। 

কেন বাঁধন তার যুক্তিও দেন তিনি। বলেন, ‘অন্য রকম একটা সৌন্দর্য। বুদ্ধিদীপ্ত সৌন্দর্য। এমন না টলিউডে কাউকে পছন্দ নয়। ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর সঙ্গে যেমন ভাবি। যেমন ঋতুপর্ণা-প্রসেনজিৎ একসঙ্গে অনেক কাজই তো করেছে। তবে ওঁর কথা বলার ধরণ আমার সঙ্গে মেলে না। আমার মনে হয় বাঁধনের সঙ্গে নিজের অনেক বেশি মিল খুঁজে পাই।’

 

বন্ধ করুন