১৫ এপ্রিল নববর্ষ উদযাপন করবেন এপার বাংলার মানুষ, আর তার ঠিক একদিন আগে ১৪ এপ্রিল বাংলাদেশে নববর্ষ পালিত হয়, এবারও তাই হচ্ছে। তবে এবার রোজা থাকায় পদ্মপাড়ে নববর্ষের উদযাপনে কিছুটা ভাটা পড়ছে বৈকি। তবু কমবেশি সব বাংলাদেশীরা সকলেই নববর্ষের আনন্দে মেতেছেন। ওপার বাংলার তারকাদেরও সোশ্যাল মিডিয়ার হাত ধরে সকলকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানাতে দেখা গিয়েছে।
বাংলাদেশের চারুকলা অনুষদে তোলা একটা ছবি দিয়ে সকলকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। একসময় তিনিও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ছাত্র ছিলেন। নববর্ষে নিজের ফেসবুকের দেওয়ালে লিখেছেন, ‘সবাইকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা…..শুভ নববর্ষ….। নতুন বছর সবার জন্য মঙ্গল বয়ে আনুক॥জাতি ধর্ম নির্বিশেষে আমরা সবাই বাঙালী….এই বন্ধন চির অটুট থাকুক। আমার সোনার বাংলা….আমি তোমায় ভালোবাসি॥’
আরও পড়ুন-বাংলাদেশের মেলা, নতুন জামার স্মৃতিতে বোনা পয়লা বৈশাখই আমার কাছে সেরা উৎসব: বাঁধন
আরও পড়ুন-ছোটবেলায় নববর্ষ মানে বাড়িতে স্পেশাল মেনু, পান্তাভাত আর ইলিশ মাছ : নুসরাত ফারিয়া
কিছুদিন আগেই পয়লা বৈশাখে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী 'মঙ্গল শোভাযাত্রা' বন্ধের নোটিস দেওয়া হয়। গত রেজিস্ট্রি ডাকযোগে নোটিসটি পাঠান বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মহম্মদ মাহমুদুল হাসান। সেই নোটিসে বলা হয়েছিল 'মঙ্গল' সংশ্লিষ্ট শব্দটি ধর্মীয় শব্দ। সব ধর্মের লোকজনই সৃষ্টিকর্তার কাছে মঙ্গল প্রার্থানা করেন। তবে এই শোভাযাত্রায় বিভিন্ন বড় আকৃতির মাছ, পাখি প্রদর্শন করা হয়, যা ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত লাগে। যা বাংলাদেশের সংবিধান অনুসারে অপরাধ।
এধরনের নোটিসের পরই সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিবাদে সরব হন দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। কড়া ভাষায় প্রতিবাদ করে লিখেছিলেন, ‘পহেলা বৈশাখ কোন নির্দিষ্ট ধর্মের উৎসব নয়। বাঙালীর প্রাণের উৎসব…..। সকল ধর্মের,সকল মানুষের উৎসব॥ বাংলা বছরের প্রথম দিনে সবাই একত্রিত হয়ে মঙ্গল শোভাযাত্রার মাধ্যমে দেশের মানুষের মঙ্গল কামনা করে॥ এখানে অংশগ্রহন যার যার নিজস্ব ইচ্ছার ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু বিরোধীতা কাম্য নয়॥’ নববর্ষেও মঙ্গল শোভাযাত্রার জন্য কাগজের তৈরি রঙিন মাছ, পেঁচার সামনে দাঁড়িয়েই ছবি তুলে পোস্ট কর
১৪ এপ্রিল শুক্রবার অবশ্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. আখতারুজ্জামানের নেতৃত্বে মঙ্গল শোভাযাত্রা বের করাও হয়। অংশ নিয়েছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থী সহ আরও অনেকেই।