লাং ক্যানসারের তৃতীয় স্টেজে ভুগছেন মহীনের ঘোড়াগুলির বাপিদা। বাংলা ব্যান্ডের অন্যতম পথিকৃৎ মহীনের ঘোড়াগুলির অন্যান্য সদস্যরা বহুদিন আগেই না ফেরার দেশে পাড়ি দিয়েছেন। রয়েছেন কেবল বাপিদা। একাকী, নিঃসঙ্গ। কর্কট রোগ এসে ফুসফুস চেপে ধরলেও, চিকিৎসার কারণে কষ্ট পেলেও, বন্ধুরা সকলে তাঁকে ছেড়ে গেলেও তিনি কিন্তু গান ছাড়েননি। গানও তাঁকে ছেড়ে যায়নি। আর সেটারই সাক্ষী থাকল বাংলা।
গত ২৫ জানুয়ারি থেকে ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন প্রান্তে সঙ্গীর মেলার আয়োজন হয়েছিল। আর সেখানেই মঞ্চে উঠে গান গাইলেন বাপিদা।
হুইল চেয়ারে বসা তিনি। শীতের হাত থেকে বাঁচতে টুপি, সোয়েটার। সঙ্গে নাকে নল লাগানো, হাতে চ্যানেল করা। দেখেই বোঝা যাচ্ছে ভীষণই অসুস্থ। কিন্তু গলার জোর? এতটুকু কমেনি। স্টেজে থাকা লক্ষ্মীছাড়া ব্যান্ডের সঙ্গে ফাটিয়ে গাইলেন, 'ভালো লাগে....'
সত্যি তো যে ব্যান্ড স্বপ্ন দেখতে শিখিয়েছে তার অন্যতম প্রাণ পুরুষকে এত প্রতিকূলতার মধ্যেও গান গাইতে দেখলে 'সুদিন' এসে গেছে না মনে করে থাকা যায়? তবে একই সঙ্গে ভিডিয়োগুলোতে কোথাও যেন একটা বিষাদের ছায়াও লুকিয়ে ছিল।
দেশপ্রিয় পার্কের তিনি 'ভালো লাগে', 'পৃথিবীটা নাকি' এবং 'কলকাতা' গানগুলো বাকিদের সঙ্গে সমান তালে তাল মিলিয়ে গেয়ে যান। শুধু গান গান তিনি এমনটা নয়, একই সঙ্গে গানের নেপথ্যে থাকা গল্পও তুলে আনেন। জানান ‘ভালো লাগে’ গানটির নেপথ্য কাহিনি।
১০ জানুয়ারি সৌমিত্র রায় এই ভিডিয়োগুলো সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন। সেখানে অনেকেই কমেন্ট করেছেন, বাপিদার স্বাস্থ্যের কথা জানতে চেয়েছেন।
এই প্রসঙ্গে বলে রাখি, নতুন বছরেই বাংলার শিল্পীরা জানান বাপিদার পরিবারের তরফে আর তাঁর চিকিৎসার খরচ চালাতে পারছেন না। তাই তাঁরা অনুরোধ করেন, সকলে যদি এগিয়ে আসেন, সাহায্যের হাত বাড়ান তাহলে ভালো হয়। তবে আপাতত বাংলার রাজ্য সরকার তাঁর চিকিৎসার সমস্ত দায়ভার নিয়েছেন। তিনি বর্তমানে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি আছেন। সেখানেই তাঁর চিকিৎসা চলছে। কিছুদিন আগে সেই কথা জানিয়ে ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছিলেন রূপম ইসলাম।