চলতি বছরেই বিয়ের পিঁড়িতে বসেন অভিনেত্রী মিষ্টি সিং। শহরের এক পাঁচতারা হোটেলে বসেছিল ঝাঁ চকচকে বিয়ের আসর। হাজির ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। এরপর হানিমুনে বিদেশ যান তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি দিয়েছিলেন প্যারিস, ব্য়ার্সেলোনা, সুইজারল্যান্ড, আমস্টারডামের মতো জায়গায়।
তবে মিষ্টির রাজকীয় কায়দায় জীবনযাপন অনেকেরই কটাক্ষের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই প্রশ্ন করতে থাকেন, বাংলা সিরিয়ালে কাজ করেও কীভাবে এরকম বিলাসবহুল জীবনযাপন করেন তিনি। সম্প্রতি এই নিয়ে জবাব দিলেন মিষ্টি। অভিনেত্রী সাফ জানান, ছোট থেকেই তিনি এই ধরনের জীবনযাপনে অভ্যস্ত। বিদেশ যাওয়াও তাঁর কাছে নতুন ব্যাপার নয়। তাঁর বাবা স্কলার। ফ্রান্সের সঙ্গে দীর্ঘ কয়েক দশকের সম্পর্ক। সেখানের বিভিন্ন কলেজে সোশিওলোজি, পলিটিক্যাল সায়েন্সের মতো বিষয়গুলো পড়ান।
তবে মিষ্টি স্পষ্ট করে দেন, মা-বাবার টাকা থাকার অর্থ এমন নয় তিনি স্পয়েলট ব্র্যাট (বখে যাওয়া বাচ্চা)। বরং ছোট থেকেই পড়াশোনার প্রতি জোর দিয়েছিল তাঁর পরিবার। লরেটো স্কুলে পড়েন, ৭৬ শতাংশ মার্কস নিয়ে স্কুল পাশ করেন। পড়ে আর্টস নিয়ে স্নাতক হন। ডবল এমএ পাশ করেন, বিএডও করেন।
মিষ্টির সাফ কথা, ‘অশিক্ষিত হয়ে সিরিয়াল করতে হবে এমনটা তো নয়। আমি আগে পড়াশোনা শেষ করেছি। এমন তো নয় অশিক্ষিত হয়ে সিরিয়াল করতে ঢুকে যাব। আমাদের নিজস্ব বিএড ইনস্টিটিউশন রয়েছে। সেখানেও পড়াই আমি সিরিয়ালের কাজ না থাকলে। আগে থেকেই ভেবে রাখতে হয়েছে সিরিয়ালে কাজ না পেলে কী করব। ’
মিষ্টি জানিয়ে দেন তাঁদের পারিবারিক সম্পত্তির পরিমাণ কম নয়। তাঁদের নিজেদের একটা এনজিও রয়েছে যা দুঃস্থ শিশুদের আশ্রয় দেয়। পড়াশোনা করায়। অভিনেত্রীর কথায়, ‘আজ আমি পথশিশুদের খাওয়ানোর ভিডিয়ো আপলোড করছি। কিন্তু এটা আমি আজ করছি এমন নয়। ছোট থেকেই করে আসছি।’ সঙ্গে হানিমুন প্রসঙ্গে তাঁর জবাব, তাঁর জামাইবাবু ফ্রেঞ্চ। ফ্রান্সে হানিমুন করার সময় ওই বাড়িতেই ছিলেন।
আঁচল সিরিয়ালে ভাদুর চরিত্র ব্যাপক জনপ্রিয়তা দেয় মিষ্টিকে। খোকাবাবু, টেক্কা রাজা বাদশা, বিকেলে ভোরের ফুল, আলতা ফড়িংয়ের মতো ধারাবাহিকে কাজ করেছেন। তবে আপাতত বিয়ের পর একটু বিরতি নিয়েছেন কাজের থেকে। তবে জানালেন, খুব জলদিই ফিরবেন নতুন কাজ নিয়ে।
মিষ্টি রেমো প্রসঙ্গে জানান, কিন্ডারগার্টেন স্কুলে পড়াকালীন রেমোর সঙ্গে আলাপ আর বন্ধুত্ব। যদিও প্রেমটা হয়েছে অনেক পড়ে, সেটার বয়সও ১৪ বছর। মিষ্টির বরের রয়েছে রিয়েল এস্টেটের ব্যবসা। আজকাল অভিনেত্রীর ভ্লগে প্রায়ই দেখা মেলে রেমোর।