ভাস্বর চট্টোপধ্যায়ের সাথে কাশ্মীরের যোগ মনের! এর আগেও কাশ্মীরের মানুষদের সাহায্যে হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন অভিনেতা। আর এবার সেখানকার একটি মেয়ের লেখাপড়ার সব দায়িত্ব তুলে নিলেন নিজের কাঁধে।
তবে প্রশ্ন উঠতেই পারে, বাংলার কাউকে সাহায্য না করে কেন কাশ্মীরের ময়েকে সাহায্য করতে গেলেন ভাস্বর? এই জবাব তিনি নিজেই দিয়েছেন আনন্দবাজার ডিজিটালকে। জানিয়েছেন, নিজের দেশ বাঁকুড়ায় তিনি খোঁজ নিয়েছিলেন। তবে সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘কন্যাশ্রী’ প্রকল্পের সহায়তায় সেরকম অসুবিধে নেই। গোটা রাজ্যেই মেয়েদের পড়াশোনার জন্য অনেক করেছেন মমতা। সেই তুলনায় দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোর অবস্থা একটু হলেও খারাপ।
নরেন্দ্র মোদীর ‘বেটি পড়াও’ প্রচারে উদ্ধুদ্ধ হয়ে তাই ভাস্বর শিক্ষার আলো জ্বালতে চেয়েছেন কাশ্মীরে। হঠাৎই তাঁর কাছে ভূস্বর্গের চতুর্থ শ্রেণিতে প এই মেয়েটির খোঁজ আসে। যার দুই ভাই রয়েছে। তাই বিয়ের বয়স হলে যে কোনও সময় পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যেতে পারে। কাশ্মীরের অনেক মেয়েদেরই তাই হয়। তাই অন্তত একটি মেয়ের লেখাপড়ার খরচ নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন তিনি ও অপর্ণা ফাউন্ডেশন। নিজের প্রয়াত মায়ের নামে এটি চালু করেছেন তিনি। করোনা ও লকডাউনের সময় অপর্ণা ফাউন্ডেশন খাবার মুখে তুলে দিয়েছে বেশ কিছু মানুষের।
ভাস্বরের আশে কাশ্মীরের অনেক মেয়েই বোরখা পরা ছেড়েছে। তাঁরা স্কুটি চালিয়ে রাস্তায় বের হয়। শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেওয়া গেলে এই ধরনের মেয়ের সংখ্যা আরও বাড়বে।