বিজু জনতা দলের সাংসদ অনুভব মোহান্তির বিরুদ্ধে সেপ্টেম্বরেই গার্হস্থ্য হিংসার অভিযোগ এনেছিলেন তাঁর তারকা স্ত্রী, অভিনেত্রী বর্ষা প্রিয়দর্শিনী। মঙ্গলবার রাজ্য মহিলা কমিশনের দফতরে হাজিরা দিলেন সাংসদ। গত ১৫ ডিসেম্বর মহিলা কমিশনে স্বামীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন প্রিয়দর্শিনী।
২০১৪ সালে ধুমধাম করে বিয়ে হয়েছিল এই জুটির। প্রেমের বাঁধনে বাঁধা পড়বার বেশ কয়েক বছর পর সাত পাকে বাঁধা পড়েন প্রিয়দর্শনী-অনুভব। শুধু প্রিয়দর্শিনী নন, অনুভব নিজেও ওড়িয়া ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির সুপারস্টার।
কমিশনের তরফে অনুভব মোহান্তি ও তাঁর বাবা-মা'কে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, যদিও মঙ্গলবার কেবল অনুভবই সমন মেনে হাজির হন রাজ্য মহিলা কমিশন দফতরে। এদিন মহিলা কমিশনের প্রতিনিধিরা সাংসদের স্ত্রীর আনা গার্হস্থ্য হিংসার অভিযোগ নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
গত সেপ্টেম্বর মাসে প্রথম প্রিয়দর্শিনীর অভিযোগের কথা প্রকাশ্যে আসে। জানা যায়, অগস্ট মাসে সরাসরি আদালতে স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা ঠুকেছেন নায়িকা। প্রোটেকশন অফ উওমেন ফ্রম ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স আইন (২০০৫) এর ১২, ১৭,১৮,১৯,২০,২২,২৩ নম্বর ধারার আওতায় মামলা দায়ের করেন প্রিয়দর্শিনী। তাঁর অভিযোগ একাধিক বার মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনের মুখে পড়েছেন তিনি। শ্বশুরবাড়ির জন্য একাধিক ছবি হাতছাড়া হওয়ায় ১৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করেন অভিনেত্রী, পাশাপাশি মাসিক সত্তর হাজার টাকা খোরপোষ চান তিনি। তাঁর আরও অভিযোগ একাধিক সহ-অভিনেত্রীর সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়েছেন মোহান্তি, সঙ্গে মদ্যপ অবস্থায় স্ত্রীর উপর অত্যাচার করেন অভিনেতা-সাংসদ।
স্বামী প্রভাবশালী ও রাজ্যের ক্ষমতাসীন দলের সাংসদ হওয়াতেই পুলিশের কাছে না গিয়ে সরাসরি আদালতে অভিযোগ জানান প্রিয়দর্শিনী। কটকের একটি বাড়িতে তালাবন্ধ করে স্বামী তাঁর উপর নির্যাতন চালিয়েছে সম্প্রতি এমন অভিযোগও এনেছেন নায়িকা। চলতি মাসেই পুলিশ মোহান্তির বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে।
গার্হস্থ্য হিংসার অভিযোগ মোহান্তির রাজনৈতিক কেরিয়ারেও আশঙ্কার কালো মেঘ ডেকে এনেছে। ইতিমধ্যেই তাঁদের বিজেডির জাতীয় মুখপাত্রের পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব।