মাত্র চার মাসেই মোহভঙ্গ তনুশ্রী চক্রবর্তীর! বিজেপির সঙ্গে সম্পর্কের তার ছিঁড়ল, প্রত্যক্ষ রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়ালেন নায়িকা। গেরুয়া শিবিরের হয়ে শ্যামপুর থেকে ভোটে লড়েছিলেন তনুশ্রী। কিন্তু শক্তঘাঁটিতেও পদ্ম ফোটাতে ব্যর্থ হন নায়িকা। পরাজিত হওয়ার মাস দুয়েকের মধ্যেই রাজনীতির ময়দান থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা করলেন অভিনেত্রী। যা ঘিরে শুরু নতুন জল্পনা।
কী কারণে আচমকা তনুশ্রীর রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত? এই প্রসঙ্গে এক সাক্ষাত্কারে অভিনেত্রী বলেন, ‘আমি রাজনীতি থেকে সরছি। যে কোনওরকম রাজনৈতিক রঙের বাইরে থাকতে চাই। আমার মনে হয়, রাজনীতিতে থাকতে হলে, এই বিষয়ে বিস্তর পড়াশোনার দরকার’। তবে তনুশ্রী জানান, রাজনীতির ময়দানে যোগ দেওয়া বা ভোটে লড়ার ব্যাপারে তাঁর কোনও আফসোস নেই, ঠিক যেমন পলিটিকস ছেড়ে দেওয়া নিয়েও আফসোস নেই। গত কয়েক মাসে অনেক কিছু শেখবার সুযোগ পেয়েছেন তিনি।
আপতত অভিনয় কেরিয়ারেই মন দিতে চান তনুশ্রী। অভিনেত্রীর কথায়, ‘পুরোনো নেশা’ (অভিনয়) নিয়েই আপাতত থাকতে চান। রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়ানোর পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় একে পর এক পোস্ট করে চলেছেন তিনি। নতুন করে নিজেকে সাজিয়ে তুলেছেন, চুলের স্টাইল পালটেসেই ছবি পোস্ট করেছেন।
এখানেই শেষ নয়, কাছের বান্ধবী নুসরত জাহান এবং শ্রাবন্তীর সঙ্গে একটি সেলফিও পোস্ট করেছেন এদিন। ক্যাপশনে বেশ কিছু হৃদয়ের চিহ্ন এঁকে দিয়েছেন। ছবিটি যদিও সপ্তাহখানেকের পুরোনো এক পার্টির ছবি। নির্বাচনী লড়াইয়ে হারের পর থেকেই তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহানের সঙ্গে শ্রাবন্তী-তনুশ্রী সখ্যতা চোখে পড়বার মতো। অন্যদিকে বিজেপির অপর পরাজিত প্রার্থী যশ দাশগুপ্তের সঙ্গে তো প্রণয় ডোরে আবদ্ধ নুসরত।
শ্রাবন্তী-নুসরতের সঙ্গে তনুশ্রীর এই ছবি নিমেষেই ভাইরাল। কেউ কেউ তিন টলি সুন্দরীর রূপের প্রশংসা করছেন, কেউ আবার কটূক্তি করতেও ছাড়ছেন না। অনেকে আবার লিখেছেন- ‘রতনে রতন চেনে’।