ক্যানসার এখনও মারণ ব্যাধি। এখনও এই রোগে আক্রান্ত হলে কোথায় চিকিৎসা করাবেন তা নিয়ে মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েন। এবার এরাজ্যের দুর্গাপুর শহরে উদ্বোধন করা হল সনাকা ক্যানসার হাসপাতালের। উদ্বোধন করলেন ক্যানসার জয়ী জনপ্রিয় বলিউড অভিনেত্রী মহিমা চৌধুরী।
দুর্গাপুরে ক্যানসার হাসপাতালের উদ্বোধনে গিয়ে মহিমা বলেন, ‘ক্যানসার আক্রান্তদের মনের মধ্যে শক্তি রাখতে হবে। আমার ক্যানসারের লড়াইয়ে আমার পাশে ছিল আমার পরিবার, বন্ধু-বান্ধব ও চিকিৎসকরা।’ মহিমার কথায়, তিনিও লড়াই করতে অনুপ্রেরণা পেয়েছিলেন আরও অন্যদের দেখে। সেই সঙ্গে ঈশ্বরের উপর ভরসা রেখেছিলেন। মহিমা বলেন, আশা করি, দুর্গাপুরের কাঁকসার মলানদিঘি শ্রীরামকৃষ্ণ ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্স অ্যান্ড সনাকা ক্যানসার হাসপাতালও এই রোগের চিকিৎসায় মানুষের ভরসা হয়ে দাঁড়াবে।
আরও পড়ুন-পিতৃহারা অরুণিমা ঘোষ, কাছের মানুষ বাবাকে হারিয়ে শোকে পাথর অভিনেত্রী
আরও পড়ুন-পেট, পিঠ ও স্তনের লাইপোসাকশন সার্জারিতে জটিলতা, প্রাণ গেল পপ তারকা দানি লি-র
এদিকে শুধু মহিমা চৌধুরী নন, পাণ্ডবেশ্বর বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের ভাইস চেয়ারম্যান কবি দত্ত সহ আরও বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরা। সনাকা ক্যানসার হাসপাতালের মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক বলেন, ‘কলকাতার বাইরে এরাজ্যে প্রথম, বিদেশি ও অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে দুর্গাপুরেই প্রথম ক্যানসারের চিকিৎসার জন্য এমন হাসপাতাল খোলা হয়েছে। পূর্ব ভারতে প্রথম ও দেশে চতুর্থতম ১৮০স্লাইস ডিজিটাল পিইটি-সিটি মেশিন বসেছে সনাকা হাসপাতালে। ক্যানসারের চিকিৎসায় এই মেশিন অপরিহার্য। সার্জিক্যাল, মেডিক্যাল অঙ্কোলজি, পেইন ম্য়ানেজমেন্ট, পল্লিয়েটিভ কেয়ারে চিকিৎসা হবে এখানে।’
দুর্গাপুরের সনাকা ক্যানসার হাসপাতালটি মোট ২৫০ শয্যার। ৫০ জন বিশিষ্ট ক্যানসার বিশেষজ্ঞ রয়েছেন এই হাসপাতালে। স্বাস্থ্যসাথী কার্ডেও ক্যানসারের চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে। আর স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে ক্যানসারের চিকিৎসার ব্যবস্থা থাকায় গরিব, মধ্যবিত্ত সকলেই চিকিৎসা করাতে পারবেন বলে তাঁরা আশা রাখছেন বলে জানান হাসপাতালের মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক।