‘দুদিন পোস্ট না করলে ভাববেন অ্যারেস্ট হয়েছি’। হঠাৎ ফেসবুকের পাতায় কেন গ্রেফতার হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করলেন ‘বং গাই’ কিরণ দত্ত! এদিকে 'বং গাই'-এর কাণ্ডে তাঁর বান্ধবী অন্তরা নয়না রায় মজুমদার পাল্টা লেখেন, অ্যারেস্ট? ডিরেক্ট 'তুলে নিয়ে যাবো' বলে! কোথায় নিয়ে যাবে সেটাও বলে না।
কিন্তু কেন? কেন গ্রেফতারের আশঙ্কায় রয়েছেন ‘বং গাই’?
তাহলে একটু খোলসা করেই বলা যাক। কিছুদিন আগে দক্ষিণের অভিনেতা বিজয় থালাপতি অভিনয় ছাড়ার কথা ঘোষণা করেছেন। জানিয়েছেন, এবার থেকে তিনি রাজনীতি করবেন। আর এই ঘোষণার পরই ফেসবুুকে আরও একটা পোস্ট করেন কিরণ দত্ত। লেখেন, ‘সাউথের অভিনেতা বিজয় থালাপাতি রাজনীতি করবে বলে অভিনয় থেকে অবসর নিলো আর আমাদের গুলো সব জোয়ানি সিন্স। একইসাথে অভিনয়, রাজনীতি, ব্যবসা ,বেসুরো গান, টিকটক, ইউটিউব সহ একাধিক শিল্পে পারদর্শী।’ সবশেষে নিজের এই পোস্টটি নেহাতই 'জোক' (মজা) বলেও উল্লেখ করেছেন বং গাই। তবে তারপরেও রাজনীতিবিদের সঙ্গে পর্নস্টারের তুলনা করে স্বস্তি পাচ্ছেন না কিরণ।
প্রসঙ্গত, যে জোয়ানি সিন্সের কথা কিরণ বলছেন, তিনি হলেন আদপে একজন মার্কিন পর্নস্টার। সেই সঙ্গে তিনি আবার পরিচালক এবং ইউটিউবার সহ আরও নানান কাজ করেন। চুলহীন মাথা, পেশীবহুল চেহারার সঙ্গে নীল চোখের জন্য জোয়ানি সিন্সের জনপ্রিয়তা অনেক বেশি। গুগলে সবথেকে সার্চড পর্নস্টার তিনি। আবার একাধিক পুরস্কারও পেয়েছেন তিনি। আবার তাঁকে নিয়ে নানান মিমও রয়েছে।
যদিও জোয়ানি সিন্সের আসল নাম কিন্তু অন্য। তাঁর বাবার দেওয়া নাম স্টিভেন উলফ। ছোটথেকে ভীষণই লাজুক প্রকৃতির ছিলেন স্টিভেন। পেনসিলভেনিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা শেষ করে স্টিভেন নীল ছবির দুনিয়ায় নাম লেখান। মাত্র ২৪ বছর বয়সেই মাথায় টাক পড়ে যায়, তাই ন্যাড়া মাথাতেই ঘুরে বেড়ান তিনি। ২৮ বছর বয়সে চাকরি ছেড়ে স্টিভেন আসেন পর্ন ব্যবসায়। নাম বদলে রাখেন জোয়ানি সিন্স। একই সঙ্গে একাধিক কাজ, যেমন পর্নোগ্রাফি, পরিচালনা ও ইউটিউবার হিসাবে কাজ করার কারণে তাঁর সঙ্গে এখানকার রাজনীতিবিদদের তুলনা টেনেছেন কিরণ দত্ত। তবে বলে ফেলেও ভয় পাচ্ছেন তিনি।
তবে কিরণকে সাহস জুগিয়েছেন নেটাপাড়ার বাসিন্দারা। একজন লিখেছেন, ‘কোনও চাপ নেই দাদা, কারোর নাম তো করেননি।’ কারোর কথায়, ‘পারবে না আটকাতে, তোমার নামে দম আছে!’ পাল্টা এক কমেন্টে কিরণ দত্ত লিখেছেন, ‘আমার আরেক জ্বালা আমি সব রাজনৈতিক দল নিয়েই খিল্লি করি। একদল মারতে আসলে, অন্য দলও বাঁচাতে আসবে না। তোমরাই আমার সব প্লিজ জেলের সামনে গিয়ে ধরনা দিও’। কেউ আবার মজা করে লিখেছেন, ‘তুমি অ্যারেস্ট হয়েছো বলে মোটেই রাস্তায় ধর্না দিতে বসতে বোলো না বা মুখে কালো কাপড় বেঁধে কারুর কুশপুতুল পোড়াতে বোলো না.. পারবো না। আমাদের ঘরেও বাবা - দাদা আছে’। বং গাই-এর পোস্ট ঘিরে এমনই নানান মন্তব্য উঠে এসেছে।