দাদাগিরির সানডে স্পেশাল এপিসোডে বসেছিল তারকাদের মেলা। ছিলেন ক্যাকটাস ব্যান্ডের অন্যতম লিড ভোকালিস্ট সিদ্ধার্থ শঙ্কর রায় ওরফে যাঁকে সকলে সিধু বলে ডাকেন। আর সেখানেই টলিউডের এই গায়ক, গীতিকার, সুরকারের একটা স্বভাব রীতিমতো চোখ কপালে তুলল সঞ্চালক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের।
একসময় ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন ছেড়ে দিয়েছিলেন সিধু এবং ক্যাকটাস ব্যান্ড গঠনে করেছিলেন। তারপর থেকে একাধিক অসাধারণ সংগীত তিনি উপহার দিয়েছেন বাংলার সংগীতপ্রেমীদের। তবে এহেন সিধুর একটা ‘অদ্ভুত’ অভ্যাসও রয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘বাড়ির লোক…’, আদৃতের সঙ্গে বিয়ে কি সামনে? দিদি নম্বর ১-এ মুখ খুললেন কৌশাম্বি
সৌরভ জানালেন, যে কোনও বিয়েবাড়িতেই সিধু যান না কেন, কতই বা খাবার খান না কেন, বাড়ি এসে মাছের ঝোল দিয়ে ভাত খান। তাতে সিধু বলেন, ‘বিয়েবাড়ির রান্না হতে পারে খুব সুস্বাদু। তবে বাড়ির খাবারের আলাদাই স্বাদ। মাছের ঝোল আর ভাতই লাগবে এমন নয়। তবে হ্যাঁ বাড়ি এসে খাই এটা ঠিক। ডাল, তরকারি হলেও হবে। কোনও তুলনাই নেই বাড়ির খাবারের।’
সিধুর কথা শুনে অভিনেতা ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশ্ন, ‘বিয়ে বাড়িতে পেট পুরে খেয়েও বাড়িতে এসে খাও?’ তাতে অবশ্য সিধু বললেন, আগে তিনি তেমনটা করতেন। তবে এখন বাড়তি ভুঁড়ির কারণে, অতটা আর পেট ভর্তি করেন না। আগে দু রাউন্ড খেতেন, তবে এখন একটু কন্ট্রোল করতেই হচ্ছে।
আরও পড়ুন: একসঙ্গে শাহরুখ-সুহানা! সুজয়ের পরিচালনায় বড় আপডেট খান পরিবার নিয়ে
তবে খাবারের ব্যাপরটা যতই আজব হোক না কেন, সৌরভ সবাইকে সাবধান করে বললেন, ‘৭বার দাদাগিরি জিতেছে সিধু এর আগে। তোমাদের সবাইকে এমন একজনের সঙ্গে আজ খেলতে হবে যে সত্যিই দুর্দান্ত।’
প্রসঙ্গত, গত বছর অগস্ট মাসে ক্যাকটাসের জন্মদিনে ফের এই ব্যান্ড ভাঙনের ইঙ্গিত মিলেছিল। ক্যাকটাসের ৩১ তম জন্মদিনে অভিজিৎ বর্মন ওরফে পটা ফেসবুকে লেখেন, 'একলা চলো রে।' এর আগে একাধিকবার ক্যাকটাসের সঙ্গ ছেড়েছিলেন পটা। আবার ফিরেও আসেন। ভক্ত মনে প্রশ্ন ওঠে, সেরকমই কিছু ঘটছে নাকি?
আরও পড়ুন: ৫৮ বছর বয়সে গর্ভবতী প্রয়াত সিধু মুসেওয়ালার মা? মুখ খুললেন গায়কের বাবা
তবে জল্পনা বাড়তেই মুখ খুলেছিলেন সিধু। জানিয়েছিলেন, 'নেশার খেয়ালে ওসব লিখেছে দেওয়ালে।' সকলেই মনে মনে চান, আর যাই হোক, ক্যাকটাসে যেন কোনওভাবেই ভাঙন না ধরে!