সুশান্ত সিং রাজপুতের অস্বাভাবিক মৃত্যুর তদন্তের সবদিক খতিয়ে দেখছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ২০শে অগস্ট মুম্বইয়ে হাজির হওয়ার পর থেকে ঝড়ের গতিতে এই মামলার তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে সিবিআই। সুশান্তের মৃত্যুর মূল অভিযুক্ত রিয়া চক্রবর্তী সহ এফআইআরে উল্লিখিত উপর তিন অভিযুক্ত রিয়ার ভাই শৌভিককে, স্যামুয়েল মিরান্ডা, শ্রুতি মোদীকেও ম্যারাথন জেরা করছে কেন্দ্রীয় সংস্থা।
সুশান্তের মুম্বইস্থিত দিদি মীতু সিংয়ে রবিবার সমন পাঠানো সিবিআই, খবর সূত্রের। জি নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে সিবিআইয়ের সামনে নিজের বয়ান রেকর্ড করতে সোমবার ডাকা হয়েছে মীতু সিংকে। সোমবার সকাল ১১টায় ডিআরডিও গেস্ট হাউজে হাজিরা দেবেন মীতু। এই প্রথম সুশান্তের পরিবারের কোনও সদস্যকে সমন পাঠালো সিবিআই।
৮ জুন রিয়া সুশান্তের অ্যাপার্টমেন্ট ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার দিন সন্ধ্যায় ওই অ্যাাপার্টমেন্টে এসেছিলেন মীতু। এবং এর পর ১৩ জুন পর্যন্ত সুশান্তের সঙ্গেই ছিলেন তিনি। ১৩ জুন সুশান্তের মৃত্যুর আগের দিন বাড়ি ফিরে যান মীতু সিং। ওই সময়ে সুশান্তের আচরণ কেমন ছিল সেই বিষয়ের খুটিনাটিই মীতুর কাছে জানতে চাইবে তদন্তকারী অফিসাররা।
এছাড়াও ১৪ জুন সুশান্তের পরিবারের মধ্যে প্রথম মীতুই সুশান্তের অ্যাপার্টমেন্টে পৌঁছেছিলেন। সুশান্তের পরিবারের আইনজীবী বিকাশ সিং জানিয়েছেন সিদ্ধার্থ পিঠানির তরফে সেদিন দুপুরে ফোন আসে মীতুর কাছে যে দরজা খুলছেন না সুশান্ত। এবং তাঁরা চাবিওয়ালা ডেকে ঘর খোলবার ব্যবস্থা করাচ্ছে। সুশান্তের বান্দ্রার অ্যাপার্টমেন্ট থেকে প্রায় মিনিট ৪০-এর দূরত্বে থাকেন মীতু। তিনি চটজলদি রওনা দেন, কিন্তু প্রায় পনেরো মিনিট দূরে থাকা অবস্থাতেই ফের পিঠানির ফোন আসে মীতুর কাছে এবং তাঁকে সুশান্ত গলায় ফাঁসি দিয়েছে এই খবর দেয় সুশান্তের ফ্ল্যাট মেইট। মীতুর ওই ফ্ল্যাটে পৌঁছানোর আগেই দেহ বিছানায় রাখা ছিল, মীতু কোনওভাবেই সুশান্তকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখেননি জানিয়েছেন বিকাশ সিং।
এর আগে মুম্বই পুলিশ ও এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট বয়ান রেকর্ড করেছে মীতুর।