গত কয়েকমাস ধরেই বচ্চন পরিবারের ভাঙনের খবর জায়গা করে নিয়েছে সংবাদমাধ্যমে। অভিষেক আর ঐশ্বর্যর মধ্যে বিচ্ছেদের খবর ছড়িয়ে রয়েছে টিনসেল টাউনে। দুজনে হাত থেকে বিয়ের আংটি খুলে ফেলেছেন বলেও দাবি করছে কেউ কেউ। তারই মাঝে বিগ বি-র ছেলে আর বউমাকে নিয়ে বড় মন্তব্য সেলেব্রিটি ফোটোগ্রাফার ডাব্বু রত্নানির।
ডাব্বু রত্নানির কথা থেকেই জানা গেল অভিষেক বচ্চন ও ঐশ্বর্য রাই-এর ফোটোশ্যুটের কথা। খ্যাতিমান ফটোগ্রাফার জানালেন কীভাবে অভিষেক তাঁর কাছ থেকে বুদ্ধি চেয়েছিলেন একটি মেয়ের সঙ্গে পোজ দেওয়ার। অবশ্য এই ঘটনা বহু পুরনো। বলা চলে স্মৃতির পথ ধরে হেঁটেই সেই অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেন তিনি।
সিদ্ধার্থ কাননের সঙ্গে একটি সাক্ষাৎকারে ডাব্বু বলেন, ‘অভিষেক এবং ঐশ্বর্যর প্রথম ফোটোশ্যুট একটি সিনেমার জন্য, আমি করেছিলাম। প্রথম সিনেমার জন্য তারা সেইসময় সুইজারল্যান্ডে একসঙ্গে শুটিং করছিলেন। আমার ক্যামেরার জন্যই প্রথমবারের মতো একসঙ্গে পোজ দিয়েছিলেন ওঁরা। অভিষেক বেশ টেনশনে ছিল। আমাকে প্রশ্ন করেছিলে, ‘আমি কীভাবে এটা করব?’ তখন ইন্ডাস্ট্রিতে একেবারে নতুন তিনি। তাই জানতে চাইছিলেন, ‘আমি কীভাবে একটি মেয়ের সঙ্গে পোজ দেব? আমি আগে এটা করিনি।’
‘ওরা বাইরে যাওয়ার আগে এই শ্যুট হয়েছিল। অভিষেক আসলে এখজন আপাদমস্তক ভদ্রলোক। তাই একটি মেয়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে পোজ দিতে, নিজের শালীনতা ধরে রাখা নিয়ে যথেষ্ট চিন্তায় ছিলেন। আসলে একটা তাঁর প্রথমদিনের শ্যুট ছিল। আমার থেকে বারবার জানতে চাইছিল কীভাবে কী করবে। তবে যত সময় গিয়েছে ও ধীরে ধীরে স্বাচ্ছন্দ্য হয়েছে।’, আরও জানান ডাব্বু।
অভিষেক ও ঐশ্বর্যর একসঙ্গে প্রথম ছবি ছিল ‘ধাই অক্ষর প্রেম কে’। অভিষেক নিজেও এর আগে ঐশ্বর্যর সঙ্গে তাঁর প্রথম ফোটোশ্যুটের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়েছিলেন। ভোগকে বলেছিলেন, ‘ঐশ্বর্য আর আমি প্রথমবার পেশাদারভাবে দেখা করি ১৯৯৯ সালে, ধাই অক্ষর প্রেম কে-এর ফটোশুটের সময়। এটি ছিল আমাদের একসঙ্গে প্রথম সিনেমা। আমি ভাবছিলাম তাঁর কাছ থেকে বুঝি ডিভা-সূচক ব্যবহার আসবে। উলটে তাঁর মিষ্টি স্বভাব আমাকে বিস্মিত করেছিল।’
অভিষেক আর ঐশ্বর্য পরবর্তীতে কুছ না কাহো, বান্টি অউর বাবলি, গুরু, এবং ধুম 2-এর মতো ছবিতে অভিনয় করেন । ঐশ্বরিয়া এবং অভিষেক ২০০৭ সালে গাঁটছড়া বাঁধেন এবং তাঁরা ২০১১ সালে তাদের মেয়ে আরাধ্যাকে স্বাগত জানান।