বাংলা টেলিভিশনের অন্যতম সফল নায়িকা শ্বেতা ভট্টাচার্য। ইন্ডাস্ট্রিতে দেখতে দেখতে এক দশক পার করে ফেলেছন অভিনেত্রী। ইতিমধ্যেই বড় পর্দায় দেবের নায়িকা হওয়ার সুযোগ পেয়েছেন তিনি। প্রজাপতি-র আবারও ছোটপর্দায় ফিরেছেন শ্বেতা।
‘সোহাগ জল’ মাস কয়েকের মধ্যেই শেষ হয়েছে, এবার ‘কোন গোপনে মন ভেসেছে’র হাত ধরে জি বাংলার পর্দাতেই ফিরছেন অভিনেত্রী। বিপরীতে রণজয় বিষ্ণু। আগামী সপ্তাহ থেকেই শুরু হবে এই মেগার সফর। তার আগে দাদার মঞ্চে হাজির শ্বেতা-সহ ‘কোন গোপনে মন ভেসেছে’র টিম। এই সিরিয়ালে শ্যামলীর ভূমিকায় অভিনয় করছেন শ্বেতা। গ্রাম থেকে শহরে এসে সর্বস্ব খুইয়ে কঠিন লড়াইয়ের মুখোমুখি সে। বাস্তবেও কঠিন পরিস্থিতির সঙ্গে যুজতে হয়েছে শ্বেতাকে। দাদার মঞ্চে সেই স্ট্রাগলের কথা বললেন শ্বেতা, মুগ্ধ হয়ে শুনলেন সৌরভ। আর নায়িকার লেগপুল করতেও ছাড়লেন না।
সামনে এসেছে দাদাগিরি-র আসন্ন এপিসোডের প্রোমো। সেখানেই শ্বেতাকে বলতে শোনা গেল- ‘আমি, মা-বাবা যে ঘরটায় থাকতাম কারুর ওয়াশরুমও ওতো ছোট হয় না। তখন মনের মধ্যে চলত মা-বাবা'র জন্য কিছু করতে হবে। এখন মা-বাবা'কে দুটো ফ্ল্যাট করে দিতে পেরেছি।'
শ্বেতার কথা শেষ হওয়ার আগেই সৌরভ বলে ওঠেন, ‘দুটো ফ্ল্যাট, একটা বাড়ি! কোথায় চাকরি কর? আমাকে একটু বলবে আমিও যাব’। সৌরভের প্রতিক্রিয়া শুনে হেসে খুন শ্বেতা নিজে। মহারাজের সঙ্গে তাঁর এই মিষ্টি মুহূর্ত দারুণ উপভোগ করল ভক্তরা।
এর আগে দিদি নম্বর ১-এর মঞ্চে এসেও নিজের কষ্টের অতীত ফিরে দেখেছিলেন শ্বেতা। বলেছিলেন- ‘বড়লোকদের বাথরুম যে রকম হয়, আমাদের ঘরটা সে রকম ছিল। একান্নবর্তী পরিবার ছিল। আমি, মা আর বাবা ছোট্ট একটা ঘরে থাকতাম। এমনও হয়েছে যে দুপুর বেলা হয়তো ভাত খেয়েছি নুন দিয়ে। কিন্তু রাতে কী দিয়ে খাব তা জানা নেই।’
ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াইয়ে অভিনেত্রীর সামনে ঢাল হয়ে ছিলেন তাঁর মা-বাবা। তাই তাঁরাই শ্বেতার ভগবান। অভিনেত্রী, 'বাবা-মা আমার জন্য প্রচুর করেছেন। বাবাকে কোনও দিন পুজোতে একটা শার্ট বা জিন্স কিনতে দেখিনি। মাকে শাড়ি কিনতে দেখিনি। ওঁদের জন্মদিন কবে জানি না। কারণ কখনও উদযাপনই করা হয়নি।'
'সিঁদুর খেলা', 'জরোয়ার ঝুমকো', 'যমুনা ঢাকি'র মতো ধারাবাহিকে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন শ্বেতা। নায়িকার লাভ লাইফও রয়েছে চর্চায়। ‘যমুনা ঢাকি’র নায়ক রুবেল দাসের সঙ্গে এই মুহূর্তে চুটিয়ে প্রেম করছেন শ্বেতা।