সুশান্ত সিং রাজপুতের প্রাক্তন ম্যানেজার দিশা সালিয়ানের আত্মহত্যার তদন্ত প্রতিদিনই নতুন মোড় নিচ্ছে। গত মঙ্গলবার ২৮ বছর বয়সী এই সেলিব্রিটি ম্যানেজারের মৃত্যুর খবর সামনে আসে। প্রথমে জানা গিয়েছিল, মালাডের জনকল্যাণ এলাকার এক বিল্ডিংয়ের ১৪ তলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন দিশা।যদিও উদ্ধার হয়নি কোনও সুইসাইড নোট। এরপর জানা যায় মদ্যপ অবস্থায় থাকায়,পা পিছলে পরে গিয়েছেন এই সেলেব্রিটি ম্যানেজার। আত্মহত্যার কেস দায়ের করে তদন্তে নেমেছে মুম্বই পুলিশ। কিন্তু আত্মহত্যার পাশাপাশি, হত্যা বা দুর্ঘটনায় মৃত্যুর তত্ত্বকেও উড়িয়ে দিচ্ছে না পুলিশ। বলিউড লাইফ সূত্রে খবর, দিশা সালিয়ানের মৃত্যুর ঘটনায় দিশার প্রেমিক, অভিনেতা রোহন রাই ও তাঁর বন্ধুদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ।
মালাডের ওই ফ্ল্যাটে প্রেমিক রোহন রাইয়ের সঙ্গে থাকছিলেন দিশা। দুর্ঘটনার রাতে (সোমবার) বন্ধুদের ডেকে হাউস পার্টিও করছিলেন তাঁরা দুজনে। সূত্রের খবর, সেই পার্টি চলাকালীনই প্রেমিকের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন দিশা। এরপর রেগে গিয়ে নিজেকে বেডরুমে বন্ধ করে নেন দিশা। তারপরই ১৪ তলার জানালা থেকে দিশার পড়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটে। মদ্যপ অবস্থাতে থাকায় পা টলে যাওয়াতেই নাকি নিজেকে সামলাতে পারেননি দিশা, সেই দাবিও উঠে আসছে।
৬ বছর ধরে দিশা-রোহনের প্রেম সম্পর্ক ছিল, শীঘ্রই বিয়ে করার কথাও ছিল তাঁদের।কিন্তু গত কয়েক মাস ধরে দুজনের সম্পর্ক একেবারেই ভালো ছিল না। এক টেলিভিশন অভিনেত্রীর সঙ্গে রোহনের ঘনিষ্ঠতা নিয়ে প্রায়শয়ই ঝামেলা হত দুজনের,খবর সংবাদমাধ্যম পেপিং মুন সূত্রে। লকডাউন শিথিল হওয়ায় বাবা-মা'র সঙ্গে থাকার পরিকল্পনাও নাকি করে ফেলেছিলেন দিশা। এই গোটা বিষয় নিয়ে বিস্তারিত তদন্তের দাবি জানিয়েছেন দিশার বাবা-মা।
মালাড পুলিশের সিনিয়ার আধিকারিক জগদীপ কালপাদ জানিয়েছেন, তাঁদের ফ্ল্যাট থেকে প্রচুর পরিমাণে অ্যালকোহলের বোতল এবং অনান্য নেশার বস্তু উদ্ধার করা হয়েছে। রোহন ছাড়াও সেদিনের পার্টিতে হাজির ৬ জন বন্ধুর বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে।
প্রাক্তন ম্যানেজারের মৃত্যুর শোকপ্রকাশ করে সুশান্ত সিং রাজপুত ইনস্টাগ্রামে লেখেন,'অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক একটা খবর। দিশার পরিবার ও বন্ধুদের প্রতি জানাই গভীর সমবেদনা। তোমার আত্মার শান্তি কামনা করি'।
ফুকরে খ্যাত অভিনেতা বরুণ শর্মার ম্যানেজার হিসাবেও দীর্ঘদিন কাজ করেছেন দিশা। ইনস্টাগ্রামে দিশার সঙ্গে একটি ছবি পোস্ট করে বরুণ লেখেন, আমি ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না, হতবাক…খুব অবাস্তব মনে হচ্ছে। এত স্মৃতি,এমন একজন ভালো মানুষ আর কাছের বন্ধু। তুমি সবসময় হাসি মুখে কাজ করেছ, এবং তোমার পথে যত বাঁধাই আসুক না কেন সেই হাসিটা নিয়েই সবকিছুর মোকাবিলা করেছো। তোমাকে খুব মিস করব। প্রার্থনা করি তোমার পরিবারের জন্য,ভগবান ওঁনাদের শক্তি দিক। এখনও বিশ্বাস করছি না দিশা,তুমি আর নেই!'