ইস কী কুৎসিত দেখতে! একসময় নিজেকে আয়নায় দেখে এমনই ভাবতেন অভিনেতা, রাজনীতিবিদ শত্রুঘ্ন সিনহা। মুখের দাগ নিয়ে বিব্রত বোধ করার কথা সম্প্রতি আরবাজ খানের টক শো-তে এসে খোলসা করেছেন অভিনেতা। বলেছেন ছোটবেলায় কাকুকে দাড়ি কামাতে দেখে তা অনুকরণ করতে যান, আর তাতেই মুখে ওই ক্ষত তৈরি হয়েছিল। শত্রুঘ্ন সিনহা জানিয়েছেন এই ক্ষত মুছতে তিনি প্লাস্টিক সার্জনের সঙ্গে কথাও বলে নিয়েছিলেন। কিন্তু কেন শেষপর্যন্ত পাস্টিক সার্জারি করালেন না?
শত্রুঘ্ন সিনহা বলেন, তাঁকে পাস্টিক সার্জারিতে বাধা দেন দেব আনন্দ। ছোটবেলার স্মৃতির সরণি বেয়ে বেয়ে ছোটবেলায় পৌঁছে গিয়েছিলেন শত্রুঘ্ন। বলেন, ছোটবেলায় দাড়ি কাটা অনুকরণ করতে গিয়ে আমি প্রথম আমার তুতো ভাই-এর গাল কেটে দি, তারপর নিজের। সেসময় বাড়িতে প্রাথমিক চিকিৎসা করে সেটা সারানো হয়েছিল। তাই ক্ষতচিহ্নটি স্থায়ীভাবে রয়ে যায়। অভিনেতা জানান, পরবর্তী সময়ে যখন তিনি অভিনয়ে এলেন, কিছুটা খ্যাতি পেলেন, তারপরই পাল্টিক সার্জারি করার কথা ভেবেছিলেন।
শত্রুঘ্ন সিনহার কথায়, ‘বিব্রত বোধ হত ভীষণভাবেই, ভাবতাম নিজের এই কাটাছেঁড়া চেহারা নিয়ে কীভাবে অভিনয় করতে চলে এসেছি! নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করব এখানে এই কথাই ভাবতে থাকতাম! প্লাস্টিক সার্জনের সঙ্গে কথা বলে ফেললাম একদিন। অনবরত মনে হত, আমায় এমন মুখ যা একেবারেই নিখুঁত নয়। চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলাম এই চেহারা পর্দায় দেখাব কীভাবে!’
‘আমার স্ট্রাগলের দিনগুলিতে, ’আমি প্রায়ই দেব আনন্দের সঙ্গে দেখা করতে যেতাম। দেব সাব কখনওই এসব বলতে যেও না। দেখো আমার দাঁতে কতটা ফাঁক রয়েছে,এখন এটাই স্টাইল হয়ে গিয়েছে।'
'সাজন' ছবির হাত ধরে ১৯৬৯ সালে বলিউডে পা রাখেন শত্রুঘ্ন সিনহা। গুলজারের ‘মেরে আপনে’ ছবিতে অভিনয় করেন শত্রুঘ্ন, তখন ১৯৭১ সাল। দুলাল গুহের 'দোস্ত' (১৯৭৪) ছবিতে অভিনয় করেন।বন্ধু অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে তাঁকে ‘রাস্তে কা পাথর’ (১৯৭২) ছবিতে অভিনয় করতে দেখা যায়, এছাড়াও শান (১৯৮০), কালা পাথর (১৯৭৯) সহ বহু ছবিতে অভিনয় করেন শত্রুঘ্ন সিনহা। এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন বলিউডের আইকনিক ছবি দিওয়ার (১৯৭৫) এবং শোলে (১৯৭৫)-তে অভিনয়ের প্রস্তাব প্রথম তাঁর কাছেই এসেছিল, তবে কিছু কারণে তিনি তা ফিরিয়ে দেন। যা নিয়ে এখনও অনুতাপ হয় তাঁর।