নিজের খোলনালচা পালটে ফেলছেন দেব আজকাল। শুরুটা করেছিলেন কমার্শিয়াল অভিনেতা হিসেবেই। তবে বর্তমানে ছক ভাঙছেন বারবার। নিজেকেই নিজে চ্যালেঞ্জ করে চলেছেন। তা সে গোলন্দাজের নাগেন্দ্রপ্রসাদ সর্বাধিকারী হোক বা কিশমিশের টিনটিন বা বাঘা যতীন, দেবকে যেন চেনাই দায়। আপাতত দর্শকদের অপেক্ষা দেবের ব্যোমকেশের। যা মুক্তি পাবে ১১ অগস্ট।
ব্যোমকেশ হওয়ায় দেবকে নিয়ে সমালোচনা চলছে গত বছর থেকে। যবে থেকে খবর এসেছে শরদিন্দুর বিখ্যাত গোয়েন্দা চরিত্র হওয়ার দায়িত্ব কাঁধে চাপিয়েছেন তিনি। উত্তমকুমার, আবীর চট্টোপাধ্যায়, অনির্বাণদের পর অনেকেই ব্যোমকেশ হিসেবে মানতে রাজি নন সাংসদ-অভিনেতাকে। সঙ্গে দেবের পাশে সবসময় রুক্মিণীকে দেখেও ক্লান্ত দর্শক। বলে রাখি, এই ছবিতেও রুক্মিণী রয়েছেন সত্যবতী চরিত্রেই। আর অজিত হয়েছেন অম্বরীশ।
তবে দেব প্রতিদিনকে জানিয়েছেন এবার তাঁর ইচ্ছে ফেলুদা হওয়ার। আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন একটা ‘ব্যোমকেশ’ বানানোর ইচ্ছে ছিল। সেটা করে ফেলেছেন। আর এবার সুযোগ পেলে করে ফেলবেন ‘ফেলুদাটা’ও। দেবের কথায়, ‘সুযোগ এলে ফেলুদা না করার কিছু নেই। তবে তার মানে আজ বললাম কালই করব তা নয়। এখনও অনেক সময় আছে। এখনও অনেক কাজ করা বাকি। কোনওদিনও হয়তো বাবুদাকে (সন্দীপ রায়) বলব যে, ফেলুদা করতে চাই।’
টলিউডের মধ্যে সম্প্রীতির ছাপ রেখে গিয়েছেন দেব তাঁর ব্যোমকেশ ও দুর্গ রহস্য-এর ট্রেলার লঞ্চের দিন। আসলে ইন্ডাস্স্ট্রি গত কয়েকমাস ধরে সরগরম ছিল। দুটো ভাগেও ভাগ হয়ে গিয়েছিল। কারণ শরদিন্দুর এই দুর্গ রহস্য নিয়েই হচ্ছিল একটা ছবি আর আরেকটা সিনেমা। একপক্ষে গিয়েছিলেন বিরশা-দেব। আরেকপক্ষে অনির্বাণ-সৃজিত। ব্যোমকেশ ভার্সেস ব্যোমকেশ যুদ্ধ পৌঁছে গিয়েছিল ফেসবুক-টুইটারেও। তবে সেসবে রাশ টানেন দেব নিজেই। নিজের সিনেমার ট্রেলার লঞ্চে ডেকে নেন বিরোধী পক্ষের (টিম ওয়েব সিরিজ) এর লোকেদের। আসেন সৃজিত, অনির্বাণ, সোহিনী।
দেব নিজের মুখেই জানিয়েছেন, সিনেমায় ব্যোমকেশ হিসেবে তিনি এগিয়ে রাখবেন আবীরকে। আর ওয়েব সিরিজে অনির্বাণকে। যদিও দেবের ব্যোমকেশ সাড়া ফেলেছে যথেষ্ট। ট্রেলার বলছে, বেশ লার্জার স্কেলে তৈরি হয়েছে সিনেমা। ছবি তৈরিতে ভালো খরচ করেছেন প্রযোজক দেব। এখন দেখার বাজার থেকে কত টাকা তুলতে পারে এই প্রজাপতি। প্রজাপতি বা টনিকের মতো ম্যাসিভ হিট হওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।