অভিনেতা ধনুশ এবং ঐশ্বর্যের সম্পর্কের চিড় ধরেছে। মাস খানেক আগেই প্রকাশ্যে এসেছিল সেই খবর। মেয়ে-জামাই ধনুশ-ঐশ্বর্যর বিচ্ছেদ চাননি রজনীকান্ত। ভাঙা সম্পর্ক কি আবার জোড়া লাগতে চলেছে? ফের আগেই মতোই সোনার সংসার সামাল দিতে পেরেছেন তারকা দম্পতি? ঐশ্বর্যের সাম্প্রতিক পোস্টে এমনই ইঙ্গিত পাচ্ছেন অনুরাগীরা।
৫ মার্চ ছিল পরিচালক সেলভারাঘবনের জন্মদিন। সম্পর্কে তিনি অভিনেতা ধনুশের দাদা এবং ঐশ্বর্যর ভাসুর। সেলভারাঘবনের জন্মদিনে নেটমাধ্যমে একটি মিষ্টি ছবি পোস্ট করে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ঐশ্বর্য। পরিচালক ভাসুরকে জড়িয়ে ধরে ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে ছবি শেয়ার করে ঐশ্বর্য লিখেছেন, 'শুভ জন্মদিন আমার গুরু, বন্ধু, বাবার মতো ব্যক্তিত্ব...'। সেই স্টোরি সেলভারাঘবন নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় রি-পোস্ট করেছেন। ভাইবৌকে নিজের বোনের মতোই স্নেহ করেন ধনুশের দাদা। ক্যাপশনে লিখেছেন, 'অনেক ধন্যবাদ আমার মেয়ে।'
প্রসঙ্গত, গত ১৭ জানুয়ারি ধনুশ আর ঐশ্বর্য রজনীকান্ত সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেদের আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্তের খবর শেয়ার করেছিলেন। এই ঘোষণা রীতিমতো হইচই পড়ে গিয়েছিল দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রিতে। যৌথ বিবৃতি দিয়ে তারকা জুটি জানিয়েছিলেন, ‘বন্ধু হিসেবে, জুটি হিসেবে, বাবা-মা হিসেবে ১৮ বছরের এই পথ চলা। সফরটা ছিল মানুষ হিসেবে বেড়ে ওঠার, একে অপরকে বুঝে ওঠার, মানিয়ে চলার। আজ আমরা এমন এক সিদ্ধান্তে এসে পৌঁছেছি, যেখানে আমরা বুঝতে পারছি এবার আমাদের পথ আলাদা হওয়াটাই ভালো। আমি আর ঐশ্বর্যা আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যুগল হিসেবে এতদিন থেকেছি। এবার নিজেদের নিজেদেরকে বোঝার পালা’।
আরও যোগ করেন, 'আগামীদিনগুলোতে বরং একে অপরকে বোঝার জন্য আর একটু সময় দেব। সকলের কাছে অনুরোধ অনুগ্রহ করে আমাদের সিদ্ধান্তকে সম্মান জানাবেন এবং আমাদের ব্যক্তিগত জীবনের গোপনীয়তা বজায় রাখতে দেবেন।'
১৮ বছরের বিবাহিত জীবন ধনুশ আর ঐশ্বর্যর। যাত্রা আর লিঙ্গ নামে তাঁদের দুই ছেলেও আছে। শোনা গিয়েছে, বিচ্ছেদের কারণ নাকি ধনুশ। কাজের জন্য তিনি এতটাই ব্যস্ত থাকেন যে পরিবারকে সময় দিয়ে উঠতে পারেন না। দুই ছেলে মায়ের কাছেই মানুষ হচ্ছে। রজনীকান্তের মেয়ে ঐশ্বর্যও একজন সফল পরিচালক। মেয়ে-জামাইকে এক করতে হাল ধরেছেন দক্ষিণের সুপারস্টার রজনীকান্ত স্বয়ং।