প্রায় চব্বিশ ঘন্টারও বেশি সময় ধরে আটক করে রেখে জিজ্ঞাসাবাদের পর ধর্মা প্রোডাকশনের এক্সিকিউটিভ প্রোডিউসার ক্ষিতিশ রবি প্রসাদকে গ্রেফতার করল নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো। ক্ষিতিশের গ্রেফতারির খবর নিশ্চিত করেছেন এনসিবি। আপতত গ্রেফতারির আইনি প্রক্রিয়া শুরু করা হয়ে গিয়েছে।
গতকাল এনসিবির দফতরে হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল ক্ষিতিশ রবি প্রসাদকে। তবে তার আগেই সাত সকালে ধর্মার এই কর্মচারীর বাড়িতে হানা দেয় এনসিবির একটি টিম। নেতৃত্বে ছিলেন সংস্থার ডেপুটি ডিরেক্টর সমীর ওয়াংখেড়ে। প্রায় চার ঘন্টা ধরে ক্ষিতিশের বাড়িতে চিরুনি তল্লাশি চালায় এনসিবি। এরপরই তাকে সঙ্গে নিয়ে রওনা দেয় ব্যালাড এসস্টেডের অফিসে। জানা যায় ক্ষিতিশের বাড়ি থেকে নিষিদ্ধ মাদক উদ্ধার করেছে এনসিবি। এরপর ক্ষিতিশকে আটক করে রাতভর জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তবে এনসিবির প্রশ্নের জবাব দিতে পারেননি করণ জোহরের ধর্মা প্রোডাকশনের এই এক্সিকিউটিভ প্রোডিউসার। সংস্থার আরও এক প্রাক্তন কর্মচারী অনুভব চোপড়াকেও গতকাল তলব করেছিল এনসিবি। রাতভর তাঁকেও জিজ্ঞাসাবাদ চলে- তবে সকালে করণ জোহরের সংস্থায় কাজ করা এই সহকারী পরিচালকে ছেড়ে দেয় এনসিবি।
বলিউডের মাদককাণ্ডের ধর্মা প্রোডাকশনের নাম জড়ানোর পর শুক্রবার রাতে সাফাই পেশ করেন করণ জোহর। আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে তিনি জানান- ব্যক্তিগতভাবে এই দুই ব্যক্তিকে তিনি চেনেন না- তাই এই দুই অভিযুক্ত করণ ঘনিষ্ঠ বলে যেমন সংবাদমাধ্যম দাবি করেছে সেটা মিথ্যা।
তিনি আরও বলেন- 'আমি অথবা ধর্মা প্রোডাকশন কেউই দায়ী নই কোনও মানুষ ব্যক্তিগত জীবনে কী করছে তার জন্য। এটা ধর্মার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নয়। আমি আরও জানাই অনুভব চোপড়া ধর্মার অন্য কর্মচারী নন, ২০১১-১২ সালে উনি খুব অল্প সময়ের জন্য মাত্র দুই মাস ধর্মার একটি প্রোডাকশনে সহকারী পরিচালক হিসাবে কাজ করেছিলেন। এবং ২০১৩ সালে একটি শর্ট ফিল্মের জন্য কাজ করেছিল অনুভব। এরপর থেকে ধর্মার আর কোনও প্রোডাকশনে অনুভব চোপড়া যুক্ত ছিল না।
ক্ষিতিশ রবি প্রসাদ ধর্মাটিক এন্টারটেনমেন্ট (ধর্মার সহযোগী সংস্থা) যোগ দেয় ২০১৯-এর নভেম্বরে এক্সিকিউটিভ প্রোডিউসার হিসাবে- চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ হয়েছিল তাঁর'।
করণ জোহর জানিয়েছেন- ‘আমি নিষিদ্ধ মাদক সেবন নিজে করি না, বা করবার বিষয়কে কাউকে সমর্থন বা এটির প্রচার করি না’।
সূত্রের খবর করণ জোহরের চর্চিত ড্রাগ পার্টির সম্পর্কেও ক্ষিতিশকে প্রশ্ন করেছে এনসিবি।