৮৮ বছর বয়সেও অবসরের মুডে নেই ধর্মেন্দ্র। ২০২৩-এ বলিউডের চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল ধর্মেন্দ্র-শাবনার চুমু। করণ জোহরের ‘রকি অউর রানি কি প্রেম কাহানি’তে রণবীরের ঠাকুর্দার চরিত্রে দেখা মিলেছিল বলিউডের হি-ম্যানের। নতুন বছরে শাহিদ-কৃতির ‘তেরি বাতোমে অ্য়ায়সা উলঝা জিয়া’র অংশ ধর্মেন্দ্র।
শুক্রবারই মুক্তি পেয়েছে এই ছবি। কিন্তু ছবির টাইটেল কার্ড দেখেই হাঁ সিনেপ্রেমীরা। এই ছবির ধর্মেন্দ্রর নামে রয়েছে বড় বদল। ১৯৬০ সালে ‘দিল ভি তেরা, হাম ভি তেরে’ ছবির সঙ্গে রুপোলি সফর শুরু করেছিলেন সুদর্শন ধর্মেন্দ্র। সেই থেকেই এই নামেই পরিচিত তিনি। মাঝে ধর্ম বদলে হেমা মালিনীকে বিয়ে করলেও রুপোলি পর্দায় তাঁর নাম পালটায়নি। কোনওদিন নিজের পদবি ব্যবহার করেন না ধর্মেন্দ্র।
তবে তাঁর ছেলে-মেয়েরা কিন্তু দেওল পদবি শুরু থেকেই ব্যবহার করে আসছে। সানি-ববি, এষা সকলেই নামের পাশে দেওল পদবি ব্যবহার। ছেলেমেয়েদের দেখাদেখি কেরিয়ার শুরুর ৬৪ বছর পর দেওল পদবি নামের পাশে জুড়লেন সুপারস্টার। ‘তেরি বাতোমে অ্য়ায়সা উলঝা জিয়া’র ক্রেডিটে ধর্মেন্দ্রর বদলে ধর্মেন্দ্র সিং দেওল লেখা হয়েছে।
ধর্মেন্দ্র ছবির দুনিয়ায় পা রেখেছিলেন সাড়ে ছ দশক আগে। সেইসময় বেশিরভাগ নায়কই নামের পাশে কুমার জুড়ে নিতেন। অনেকে দর্শকদের কাছে সোজা হবে এমন নাম রাখা পছন্দ করতেন। সেই কারণেই হয়ত ধর্মেন্দ্র সিং দেওল বলিউডে নিজের পরিচিতি গড়েছিলেন ধর্মেন্দ্র হিসাবে। ১৯৩৫ সালের ৮ ডিসেম্বর জন্ম ধর্মেন্দ্র। তাঁর বাবার নাম ছিল কিওয়াল কিষান দেওল। মায়ের নাম ছিল সাতবন্ত কউর। গ্ল্যামার জগতের সঙ্গে কোনও যোগই ছিল না।
‘তেরি বাতোমে অ্য়ায়সা উলঝা জিয়া’য় শাহিদের ঠাকুর্দার চরিত্রে রয়েছেন ধর্মেন্দ্র। বর্ষীয়ান অভিনেতার সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ারের সুযোগ পেয়ে উচ্ছ্বসিত শাহিদ। তিনি বলেন, ‘আমি আর্শীবাদধন্য। ওঁনার সঙ্গে যখনই সাক্ষাৎ হয় উনি জড়িয়ে ধরেন, সেই আলিঙ্গনে একটা ভালোবাসা থাকে। ওঁনার সঙ্গে কাজের সুযোগ পাওয়াটা বড় ব্যাপার। আমার অনেক দৃশ্য় রয়েছে ধরমজির সঙ্গে।’ এই ছবিতে রোবটের প্রেমে পড়বেন শাহিদ। সেই চরিত্রে রয়েছেন কৃতি। গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় দেখা মিলল ডিম্পল কপাডিয়ার।
জীবনের ৮৮টা বসন্ত পার করেও রঙিন ধর্মেন্দ্র। সোশ্য়াল মিডিয়ায় বেজায় অ্যাক্টিভ। ফ্যানেদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখেন। ব্যক্তিগত জীবনে ধর্মেন্দ্র ১৯৫৪ সালে প্রকাশ কৌরের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তাঁদের ৪ সন্তান রয়েছে — সানি, ববি, বিজেতা ও অজিতা দেওল।তবে এই বিয়ের প্রায় ৩০ বছর পর, ধর্মেন্দ্র হেমা মালিনীকে বিয়ে করেন। তাঁদের দুই মেয়ে হলেন এষা ও অহনা দেওল।