একসঙ্গে একাধিক ছবিতে অভিনয়। বক্স অফিসে রেকর্ড সাফল্য। সেলুলয়েডে যেন বন্ধুত্বের নজির গড়েছিলেন তাঁরা। ধর্মেন্দ্র এবং অমিতাভ বচ্চন। প্রতিদ্বন্দ্বিতা নয়, সুন্দর বোঝাপড়াকেই আগাগোড়া গুরুত্ব দিয়ে এসেছেন দুই সমসাময়িক। কিন্তু ইন্ডাস্ট্রি তথা দর্শকমহলে চলতে থেকেছে দুই অভিনেতার তুল্যমূল্য বিচার। বলা ভালো, এখনও চলছে।
হৃষিকেশ মুখোপাধ্যায় পরিচালিত 'চুপকে চুপকে'-তে একসঙ্গে কাজ করেছিলেন ধর্মেন্দ্র-অমিতাভ। সম্প্রতি ছবিটি নিয়ে একটি সমালোচনামূলক লেখা প্রকাশিত হয়। সেই লেখায়, 'বিগ বি'-র ভূয়সী প্রশংসা করা হয়। দাবি করা হয়, তাঁর অভিনয় গুণেই আলাদা মাত্রা পেয়েছিল ছবিটি।
এই সমালোচনামূলক লেখা পড়ে বেজায় চটেন ধর্মেন্দ্রর এক অনুরাগী। টুইটারে নিজের মতামতও প্রকাশ করেন চাঁচাছোলা ভাষায়। তাঁর বক্তব্য, 'এই মিথ্যা প্রশংসা দেখে হাসি পাচ্ছে। 'চুপকে চুপকে আসলে ধর্মেন্দ্রর ছবি। উনি অসম্ভব ভালো করেছিলেন। অমিতাভ সব চেয়ে দুর্বল অভিনয় করেছিলেন।'
এখানেই থেমে যাননি সেই ব্যক্তি। এসেছে 'শোলে' প্রসঙ্গও। রমেশ সিপ্পি পরিচালিত সেই ছবি মুক্তি পেয়েছিল ১৯৭৫ সালে। বাণিজ্যিক সাফল্যের নিরিখে নজির গড়েছিল 'শোলে'। মুখ্য চরিত্রে ছিলেন ধর্মেন্দ্র এবং অমিতাভ। জয় এবং বীরুর চরিত্রে পর্দায় বন্ধুত্বের নয়া সংজ্ঞা গড়েছিলেন তাঁরা। অজয় নামে সেই ব্যক্তির কথায়, ''শোলে'-তেও অমিতাভ কোনও ভাবেই ধর্মেন্দ্রকে ছাপিয়ে যেতে পারেননি। তাঁরা দু'জনেই সমান ভাবে নজর কেড়েছেন। অন্য কারও প্রচারের জন্য ধর্মেন্দ্রকে নীচু করা বন্ধ করুন!'
(আরও পড়ুন: KBC-র আইডিয়া যমলোক থেকে ‘চুরি’ করেছেন অমিতাভ! আভাস দিলেন ‘চিত্রগুপ্ত’ অজয়)
তাঁর প্রতি অনুরাগীর এই ভালোবাসা ধর্মেন্দ্রর চোখ এড়ায়নি। সেই ব্যক্তির উদ্দেশে তিনি লেখেন, 'খুব ভালো লাগল। ভালোবাসা নিও অজয়।'
(আরও পড়ুন: ‘৮০ বছর বয়সেও চালিয়ে যাচ্ছেন’, ‘আইডল’ অমিতাভ বচ্চনের মতো হতে চান রণবীর সিং)
'শোলে', 'চুপকে চুপকে', 'রাম বলরাম'-এর মতো একাধিক ছবিতে একসঙ্গে কাজ করেছেন ধর্মেন্দ্রও এবং অমিতাভ। এত বছর পরেও তাঁদের নিয়ে এই তুল্যমূল্য বিচার থামার নয়। কিন্তু পেশাগত ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতার আঁচ পড়েনি তাঁদের বন্ধুত্বে। জয়-বীরুর 'দোস্তি'র রং আজও অমলিন।