দুঃসাহসিক চুরি এবং গতির লড়াই নিয়েই বলিউডের জনপ্রিয় ফ্র্যাঞ্চাইসি ধুম। এখনও পর্যন্ত যশ রাজ ব্যানারে তৈরি হয়েছে ধুম সিরিজের তিনটি ছবি। প্রত্যেকবার ছবির নায়ক এক থাকলেও খলনায়ক বদলে গিয়েছে। প্রথমবার জন, দ্বিতীয় দফায় হৃত্বিক এবং তৃতীয় ছবিতে আমির খানকে দেখেছেন দর্শক, তাও ডবল রোলে। কিন্তু চোর ধরার দায়িত্বে থাকা এসিপি জয় দীক্ষিতের ভূমিকায় প্রতিবারই দেখা মিলেছে অভিষেক বচ্চনের।
এক সাক্ষাৎকারে অভিনেতা অভিষেক বচ্চনকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, ‘ধুম’ প্রথম সিরিজ থেকে তৃতীয় পর্যন্ত প্রতিটিতে তিনি ছিলেন। আমির খান ছাড়াও ছবিতে প্রতিপক্ষ হিসেবে তাঁর প্রিয় সহ-অভিনেতা কে? খোদ আমির খান এমন ভয়ঙ্কর প্রশ্ন করেছিলেন অভিষেককে।
অভিষেক বচ্চনকে আমির প্রশ্ন করেছিলেন, তাঁর, জন এবং হৃতিকের মধ্যে কার সঙ্গে কাজ করে তিনি সবথেকে বেশি আনন্দ পেয়েছিলেন। বিন্দুমাত্র সময় না নিয়ে, অভিষেক উৎসাহের সঙ্গে স্ত্রী ঐশ্বর্য রায় বচ্চনের নাম নেন। ‘ধুম ২’তে অভিনেত্রীকে হৃতিকের পাশাপাশি অভিষেক বচ্চনের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দেখা গিয়েছিল। তবে অত সহজে ছেড়ে দেওয়ার পাত্র অভিনেতা আমির খান নয়। যে তিনটি অপশন রাখা হয়েছে তাঁদের মধ্যে থেকেই জবাব বাছাই করবার কথা বলেন নাছোড়বান্দা আমির।
রেডিয়ো মিরচির একটি সাক্ষাৎকারে ফের একই প্রশ্ন অভিষেককে করেন আমির। তখন অভিনেতা জানিয়েছিলেন, ‘আমি জন এবং হৃতিকের নাম বলব। কারণ আমি এঁদের সঙ্গে এনজয় করে কাজ করেছি। কিন্তু আপনার সঙ্গে এটি খাটে না। উদয়(চোপড়া) এবং আমি আপনার দৃষ্টিভঙ্গি যতটা সম্ভব শেখার চেষ্টা করেছি। আপনার সঙ্গে কাজ করা মানে আপনাকে আমাদের কাছে শেখার একটা জায়গা’।
ধুমের ব্যবসা সম্পর্কে বলতে গিয়ে অভিষেক জানিয়েছিলেন, ‘এটা তৈরি জন্য একটা আলাদা ভাবনা ছিল। জনের সঙ্গে আমার এটা প্রথম ছবি ছিল। একটা উন্মাদনা, আবেগ কাজ করছিল। কোনো প্রকার প্রত্যাশা ছিল না ছবির থেকে। আমরা এমনিই মজার ছলে ছবিটি নিয়ে এগিয়েছিলাম, পরে সেটাই হিট করে যায়। তাই এটা সম্পূর্ণ আলাদা অনুভূতি ছিল’।
যদিও হৃতিক, অভিষেক এবং উদয়ের ছোট বেলার বন্ধু ছিল। তাই তাঁদের একসঙ্গে শ্যুটিং করার অভিজ্ঞতা সম্পূর্ণ আলাদা ছিল। তবে আমির খানের সঙ্গে শ্যুটিং সম্পর্কে অভিষেক জানিয়েছেন, ‘দারুণ শেখার অনুভূতি’।