বলিউডে ফের সুখবর! করোনা আবহে অভিনেত্রী দিয়া মির্জা এবং স্বামী বৈভব রেখির কোল আলো করে এল ফুটফুটে পুত্র সন্তান। বুধবার সকালে তাঁদের প্রথম সন্তানের আগমন কথা নিজেই জানিয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। যদিও প্রায় দু-মাস আগে, গত ১৪ই মে ছেলের জন্ম দিয়েছেন প্রাক্তন মিস এশিয়া প্যাসিফিক। এদিন ইনস্টাগ্রাম পোস্টে ছেলের প্রথম ঝলক সামনে এনে গুড নিউজ সকলের সঙ্গে ভাগ করে নেন দিয়া, পাশাপাশি জানান সমস্যার জেরে সময়ের আগেই সি-সেকশনের মাধ্যমে ছেলের জন্ম দিয়েছেন তিনি। দিয়া ও বৈভব ছেলের নাম রেখেছেন আভহান আজাদ রেখি (Avyaan Azaad Rekhi)।
সামাজিক মাধ্যমে ছেলের প্রথম ঝলক পোস্ট শেয়ার করেন দিয়া। ছবিতে সদ্যোজাতের হাত ধরে রয়েছেন অভিনেত্রী। দিয়া ও বৈভবের সন্তান প্রি-ম্যাচিউর শিশু হওয়ায় তাঁকে এখন নিওনেটাল আইসিইউ-তে রাখা হয়েছে। সেই কারণেই এদিন সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে নিজের সন্তানকে 'মিরাকেল বেবি' বলে উল্লেখ করেন দিয়া। এলিজাবেথ স্টোনের একটি লেখা শেয়ার করে দিয়া লিখেছেন, ‘আমাদের পুত্র সন্তান আভহান আজাদ রেখির জন্ম হয়েছে ১৪মে। সময়ের আগে জন্ম হয়েছে ওর। চিকিৎসক, নার্সদের তত্ত্বাবধানে আইসিইউতে রয়েছে।’
দিয়া জানিয়েছেন গর্ভাবস্থায় জটিল সমস্যায় দেখা যাওয়ায় তাঁর জীবন সংকটে ছিল, সেই কারণেই সময়ের আগেই সি-সেকশনের মাধ্যমে তাঁর গর্ভস্থ সন্তানকে ভূমিষ্ঠ করবার সিদ্ধান্ত নেন চিকিত্সকরা। তারপর থেকেই নিওনেটাল আইসিইউতে রয়েছে সে।
তাঁর দু-মাসের শিশুপুত্র ইতিমধ্যেই তাঁকে প্রকৃতি ও মাতৃত্বের প্রকৃত মানে বুঝতে সাহায্য করেছে বলেও জানিয়েছেন দিয়া মির্জা। ‘আমরা অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে দেখি একরত্তির দিকে.. ও সত্যি একটা আশ্চর্যই বটে, ওর কাছ থেকে শিখছি মানবতা, প্রকৃতির প্রতি বিশ্বাস এবং অবশ্যই মাতৃত্ব কী জিনিস। ভয় না পেয়ে কীভাবে লড়াই করতে হয়, সাহসিকতার সঙ্গে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হয় সেটাও ও আমাদের শিখিয়েছে। আমি মন থেকে ধন্যবাদ জানাতে চাই সেই সকল মানুষকে যাঁরা এই যাত্রায়, এই লড়াইয়ে আমাদের সাহায্য করেছে… আশার এই গল্পে তাঁরাও অংশীদার হয়েছে, আভহানের জন্য একটা সুস্থ, সুরক্ষিত জায়গা করে তুলতে সাহায্য করেছে। শীঘ্রই আভহান বাড়িতে আসবে, যেখানে ওর জন্য অপেক্ষা করছে ওর বড় দিদি সামাইরা এবং ওর ঠাকুমা-দাদু… ওকে কোলে নেওয়ার জন্য তাঁরা মুখিয়ে রয়েছে’, জানান দিয়া মির্জা।
গত ১লা এপ্রিল, বিয়ের ঠিক ৪৫ দিনের মাথায় নিজের অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর জানিয়েছিলেন দিয়া মির্জা। প্রেগন্যান্ট হওয়ার জেরেই তড়িঘড়ি বিয়ে করেছেন তিনি, এমন কটাক্ষও শুনতে হয়েছিল তাঁকে। সেইসময়ই তিনি সাফ জানান, বিয়ের প্রস্তুতিপর্ব যখন চলছিল তখন তিনি জানতে পারেন সন্তানসম্ভবা হওয়ার কথা, তাই প্রেগন্যান্সিটা বিয়ের কারণ কোনওভাবেই নয়। এবং চিকিত্সাগত কারণে আগে এই খবর জানাননি তিনি। অভিনেত্রী বলেন, ‘তখনই না জানানোর অন্য কারণ রয়েছে। চিকিৎসাগত কারণের জন্য চুপ থাকতে হয়েছিল আমাকে। সন্তানের সুরক্ষার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে এই দিনটার জন্য অপেক্ষা করেছি আমি। জীবনের সব থেকে সুন্দর মুহূর্তে রয়েছি এখন। চিকিৎসাগত কারণ ছাড়া আর কোনও কারণেই এই খবরটি লুকোনোর কোনও উদ্দেশ্য আমার নেই’।