বলিউডের অন্যতম সুপারস্টার ছিলেন দিলীপ কুমার। এই প্রবাদপ্রতিম অভিনেতার আসল বাড়ি পাকিস্তানে। অভিনেতার পৈতৃক বাড়িটির সংস্কারের কাজ চলছে শহরের কিসসা খাওয়ানি বাজারে। একটি সূত্র ইটাইমসকে জানিয়েছে, ‘দিলীপ কুমারের বাড়ি, এখন খাইবার পাখতুনখোয়া সরকারের মালিকানাধীন, পুনরুদ্ধার করা হচ্ছে এবং প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধীনে পড়েছে’।
কাজ চলছে পুনরুদ্ধারের, জানা যাচ্ছে বাড়িটিকে জাদুঘরে রূপান্তরিত করতে কিছু সময় লাগবে, কারণ এই প্রোজেক্টের জন্য তহবিলের প্রয়োজন রয়েছে। বিভাগ তহবিল প্রকাশের জন্য অপেক্ষা করছে। পাকিস্তানের সাম্প্রতিক সাধারণ নির্বাচন এবং একটি নতুন সরকার গঠনের পরে তহবিল গঠনের কাজ শুরু হবে বলে শোনা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: বোল্ড আউটফিটে শিল্পা, ‘কোমরের হাড় বেরিয়ে এসেছে নাকি?', প্রশ্ন নেটপাড়ার
আরও পড়ুন: ফারহানের বাড়িতে হাজির প্রিয়াঙ্কা-নিক! ‘জি লে জারা’র মিটিং নাকি? প্রশ্ন ভক্তর
আরও পড়ুন: ‘ব্যাড নিউজ’ শোনালেন ভিকি-তৃপ্তি-অ্যামি! ঘোষণা সারলেন ছবি মুক্তির তারিখ
অন্যদিকে, একই সূত্র আরও জানিয়েছে, রাজ কাপুরের পৈতৃক বাড়িটিও সরকারি মালিকানায় রয়েছে এবং এটি একটি যাদুঘরে রূপান্তরিত হবে।
খাইবার পাখতুনখাওয়া পুরাতত্ত্ব বিভাগের প্রধান ডাক্তার আব্দুস সমদ খান জানিয়েছিলেন, দেশভাগের আগে ভারতীয় চলচ্চিত্র জগতের দুই তারকা রাজ কাপুর ও দিলীপ কুমার এই বাড়িতে থাকতেন। কম বয়সের অনেকগুলো দিন এই বাড়িতে কেটেছে তাঁদের। রাজ কাপুরের পৈতৃক বাড়ির নাম ছিল কাপুর হাভেলি। রাজ কাপুরের বাবা দিওয়ান বসেস্বরনাথ কাপুর এই বাড়িটি তৈরি করেছিলেন। পুরাতত্ত্ব বিভাগ অনুমান করেছে ১৯১৮ সালে এই বাড়ি তৈরি করা হয়েছিল। এই বাড়িতেই রাজ কাপুরের কাকা ত্রিলোক কাপুরের জন্ম হয়েছিল।
বিখ্যাত অভিনেতা দিলীপ কুমারের আদি বাড়ি পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়ায় অবস্থিত। অভিনেতার এই বাড়িটি পাকিস্তানের জাতীয় হেরিটেজ। এই বাড়িতেই ১৯২২ সালে জন্মগ্রহণ করেন দিলীপ কুমার। বাড়িটি পেশোয়ারের ঐতিহাসিক কিসসা খাওয়ানি বাজারের কাছে অবস্থিত। ১৯৩২ সালে সেই বাড়ি এবং পাকিস্তান ছেড়ে ভারতে চলে আসেন দিলীপ কুমার। কিন্তু তার আগে জীবনের প্রথম ১২ বছর তিনি সেখানেই কাটিয়েছিলেন।
২০১৪ সালের ১৩ জুলাই দিলীপ কুমারের এই বাড়িটিকে পাকিস্তান সরকার জাতীয় হেরিটেজ বলে ঘোষণা করেন। তৎকালীন পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ এই ঘোষণা করেছিলেন। দেশ ভাগের পর দিলীপ কুমার একবারই সেই দেশে ফিরে যান এবং নস্টালজিয়ায় ভাসেন। ভালোবেসে চুমুও খান সেই দেশের মাটিকে।