থামবার নাম নিচ্ছে না কঙ্গনা রানাওয়াত ও দিলজিৎ দোসাঞ্জের টুইট যুদ্ধ। একে অপরকে বিঁধে লাগাতার টুইট করে চলেছেন দুজনেই। আর এই বাকযুদ্ধের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে কেন্দ্রের নয়া কৃষি বিল বিরোধী আন্দোলন। আন্দোলনরত কৃষকদের শুরু থেকেই প্রকাশ্যে সমর্থন জানিয়েছেন দিলজিৎ, অন্যদিকে টুইটারে কেন্দ্র সরকারের পাশে দাঁড়িয়ে আন্দোলনের সমর্থনে মুখ খোলা সেলেবদের তুলোধোনা করেছেন কঙ্গনা। ‘টুকরে টুকরে গ্যাং’ কৃষকদের ভুল পথে চালনা করে ফায়দা তোলবার চেষ্টায় রয়েছে দাবি অভিনেত্রীর। নিজেকে কৃষকদের শুভাকাঙ্খী বলেই দাবি করেছেন কঙ্গনা।
শুক্রবার রাতে কঙ্গনা টুইট করেন, আজ প্রায় ১২ ঘন্টার শিফট শেষ করলাম হায়দরাবাদে, এরপর চেন্নাইতে উড়ে এলাম একটা চ্যারিটি ইভেন্টে যোগ দিতে, কেমন লাগছে আমাকে হলুদ শাড়িতে? আর বলছি দিলজিৎ কোথায়? সকলে তাঁকে টুইটারে খুঁজছে'।
কঙ্গনার টুইটের পালটা জবাবে দিলজিত্ লেখেন- 'যারা আমার খোঁজখবর নিচ্ছেন,তাঁদের জানিয়ে রাখি সকালে উঠে আমি জিমে গিয়েছিলাম, এরপর সারা দিন কাজ করেছি, এবার আমি ঘুমতো যাব-এটাই ছিল আমার আজকের গোটা দিনের শেডিউল'।
এর আগে শুক্রবার সকালেও দিলজিৎ দোসাঞ্জ, প্রিয়াঙ্কা চোপড়াকে একহাত নেন কঙ্গনা। তিনি লেখেন, ‘প্রবলেমটা শুরু তাঁদের নিয়ে নয়, প্রবলেমটা সেই সব মানুষকে নিয়ে যাঁরা ওঁদের সমর্থন করছেন এবং কৃষি বিলের বিরোধিতা করছেন। তাঁরা সকলেই এই বিলের গুরুত্বটা জানেন, এটা কৃষকদের স্বপক্ষে তৈরি বিল অথচ নিরীহ কৃষকদের প্ররোচনা নিয়ে হিংসা, ঘৃণা ছড়ানো হচ্ছে, ভারত বন্ধ ডাকা হচ্ছে নিজেদের ব্যক্তিগত লাভের জন্য’। প্রিয়াঙ্কা-দিলজিৎ এই আন্দোলনকে 'ভুল পথে চালিত' করছে বলে মন্তব্য করেন কঙ্গনা। তিনি এও বলেন অথচ এদেরকেই মিডিয়াতে হিরো হিসাবে তুলে ধরে পুরস্কৃত করা হবে।
গত ২৭ নভেম্বর এক শিখ মহিলাকে শাহিনবাগের আন্দোলনের ‘দাদি’ হিসেবে টুইটারে উল্লেখ করেছিলেন কঙ্গনা। দাবি করেছিলেন, ১০০ টাকার জন্য শাহিনবাগের ‘দাদি’ কৃষক বিক্ষোভে যোগ দিয়েছেন। তুমুল সমালোচনার মুখে পড়ে কঙ্গনা সেই টুইট ডিলিট করেন। সেই টুইট নিয়ে শুরু দিলজিত্-কঙ্গনার টুইট যুদ্ধ।