বয়সের পার্থক্য প্রায় ২৬ বছরের। তবুও সুখী দাম্পত্য দীপঙ্কর দে ও দোলন রায়ের। বয়সের পার্থক্য থাকলেও দীর্ঘদিন চুটিয়ে প্রেম করেছেন দীপঙ্কর-দোলন। থাকছিলেনও একসঙ্গেই। তারপর ২০২০তে শেষপর্যন্ত সইসাবুদ করে বিয়েটা সেরে ফেলেন তাঁরা। কিন্তু কীভাবে তাঁর প্রেমে পড়েছিলেন দীপঙ্কর দে? সম্প্রতি এবিষয়ে মুখ খুলেছেন অভিনেত্রী দোলন রায়।
টিভি নাইন বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে দোলন রায় বলেন, তাঁর সঙ্গে দীপঙ্কর দে-র বিয়েটা প্রথম বিয়ে নয়। দীপঙ্কর দে-র আগের স্ত্রী ছিলেন, যিনি একজন অ্যাংলো ইন্ডিয়ান। সেই বিয়েতে দীপঙ্কর দে-র দুই মেয়েও রয়েছে। বড় মেয়ে ২০২৩-এর অগস্টে মারা যান, অসুস্থ ছিলেন। দোলন রায়ের সাফ কথা, তিনি দীপঙ্কর দে-র ঘর ভাঙেননি। প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ির অনেকগুলো বছর পর দোলনের সঙ্গে অভিনেতার সম্পর্ক তৈরি হয়। তাই অভিনেতার প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে দোলনের কোনওদিন বিবাদ হয়নি। তাই দীপঙ্কর দে-র মানসিক শান্তিও রয়েছে।
আরও পড়ুন-কেঁদে কেঁদে চোখ ফুলিয়ে ফেলেছেন, চোখে জল নিয়ে শেষদিনের মেকআপ 'রাঙা বউ' শ্রুতির
দোলন রায় জানান, দীপঙ্কর দে তাঁর প্রথম স্ত্রীকে কোনওদিনই বাঙালি বউ হিসাবে পাননি। তাঁর কথায়, ‘আমার স্বামী কোনওদিনই তাঁর প্রথম স্ত্রীকে পুজো দিতে দেখেননি। বাঙালি বউ কেমন হয়, তা তিনি জানতেনই না। তাই আমি এখন আটপৌরে শাড়ি পরি, পুজো করি, লক্ষ্মীর পাঁচালি পড়ি, তন্ময় হয়ে আমার দিকে তাকিয়ে থাকে দীপঙ্কর। সেই তাকিয়ে থাকায় শান্তি আছে। স্বস্তি পাই এইভেবে যে আমি এটুকু ওকে দিতে পেরেছি।’
এখানে শেষ নয়, দোলন রায়ের কথায়, ওই মানুষ(দীপঙ্কর দে) তাঁকে পরিপূর্ণ করেছেন, প্রয়োজনে শাসন করেছেন। সবটাই তাই তিনি সাদরে গ্রহণ করেছেন। দোলন রায়ের কথায়, তিনি স্বামী দীপঙ্কর দের কাছে ঋণী। তবে তিনি দায়িত্বও নিয়েছেন। দোলন রায় বলেন, ‘চাই মানুষটা সুস্থ থাকুক। আরও কাজ করুক, অমিতাভ পারলে দীপঙ্করও পারবেন। ঠিক যেভাবে দিলীপ কুমারকে ৯৮ পর্যন্ত বাঁচিয়ে রেখেছিলেন সায়রাবানু। আমিও সেটাই চাই। আমার কাছে দিলীপ কুমার-সায়রা বানু আদর্শ। আমি দীপঙ্করের জীবনে সায়রাবানু হয়ে থাকতে চাই। ওর সব শোক আমার হোক, পরিবর্তে আমার আনন্দ ওর হোক। এর বেশি চাই না…’