বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর তরফে রিয়ার জামিন সংক্রান্ত আবেদনের শুনানির দিন ধার্য ছিল। এদিন এনসিবি সর্বোচ্চ আদালতকে জানায়, বম্বে হাইকোর্টের রায়ের বিরোধিতা করে মাদক মামলায় রিয়ার জামিনকে চ্যালেঞ্জ জানায়নি তাঁরা। বরং রিয়ার জামিনের রায়দান কালে বম্বে হাইকোর্ট নির্দিষ্ট কিছু পর্যবেক্ষণ করেছে, সেই নিয়ে আপত্তি রয়েছে কেন্দ্রীয় মাদক নিয়ন্ত্রক সংস্থার।
অর্থাত্ রিয়া চক্রবর্তীর জামিনের অর্ডার নিয়ে আপত্তি থাকাতেই সুপ্রিম কোর্টে আবেদন। কেন্দ্রের তরফে সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতা এবং অতিরিক্ত সলিসিটার জেনারেল এসভি রাজু এদিন এনসিবির প্রতিনিধিত্ব করেন। তাঁরা আদালতকে জানায়, ‘আমরা জামিনের বিরোধিতা করে এখানে আসিনি। কিন্তু সেই জামিনের রায় দেওয়ার সময় বম্বে হাইকোর্ট কিছু পর্যবেক্ষণ করেছিল যা ভবিষ্যতে এনডিপিএস আইনকে অকেজো করে দেবে’। প্রধান বিচারপতি এসএ বোবদের ডিভিশন বেঞ্চকে একথা জানায় কেন্দ্র।
যদিও বেঞ্চ স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, কোনও জামিনের রায়দানের পর্যবেক্ষণকে চ্যালেঞ্জ করা সম্ভবপর নয়। এনসিবি সুপ্রিম কোর্টে সেই জামিনের বিরোধিতা করে আবেদন জানাতে পারে মাত্র। আদালতের কথায়, ‘পর্যবেক্ষণ তো প্রাইমা ফেসিয়া। কোনও মামলার তথ্য প্রমাণের উপর ভিত্তি করেই আদালত পর্যবেক্ষণ করে থাকে’।
গত ৭ সেপ্টেম্বর এনসিবির হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন রিয়া। প্রায় একমাস জেলবন্দি থাকবার পর ৫ অক্টোবর শর্তসাপেক্ষে জামিন পান অভিনেত্রী। বম্বে হাইকোর্টের বিচারপতি সারাং কোতওয়াল রিয়ার জামিনের আবেদন মঞ্জুর করে জানিয়েছিলেন ‘আমি এই সওয়ালের সঙ্গে একমত নই যে মাদক সেবনের জন্য কাউকে টাকা দেওয়ার অর্থ হল যে সেই অভ্যেসে উৎসাহ দেওয়া। এনডিপিএস আইনের ২৭ এ ধারার তা আর্থিক মদত দেওয়া বা রেখে দেওয়া নয়।’
মূলত এই বিষয়টি নিয়েই আপত্তি রয়েছে এনসিবির।