সুখ যে ক্ষণস্থায়ী তা তো বাংলা সিরিয়ালের প্লট হামেশাই প্রমাণ করে দেয়! এই তো বর্ষবরণের আনন্দে মেতে উঠেছিল ঊর্মি-সাত্যকিরা। তবে দু-দিন যেতে না যেতেই মহাবিপদে ফেঁসেছে ঊর্মির টুকাইবাবু। শ্লীলতাহানির মতো গুরুতর অভিযোগে কাঠগড়ায় সে। ট্যাক্সি চালিয়ে সৎভাবে বেঁচে থাকা কাকে বলে সেটা সাত্যকিকে দেখে শিখেছে ঊর্মি। অথচ সাত্যকির নামেই এখন এমন অভিযোগে ছারখার গোটা পরিবার।
সাত্যকির নামে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে এমনটা শুনে কান্নায় ভেঙে পড়েছিল ঊর্মি, অন্যদিকে মুখে কুলুপ সাত্যকির। নিজের বিরুদ্ধে ওঠা এই অভিযোগ নিয়ে কিছুই বলছে না সে। অসুস্থ রিনিকে বিশ্বাস করে বিরাট ভুল করেছিল ঊর্মি, সেই বিপদ কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই নতুন ঝামেলা হাজির ঊর্মি-সাত্যকির দাম্পত্য জীবনে। কিন্তু হাল ছাড়বার পাত্রী নয় ঊর্মি। প্রত্যেকবার নিজের বিবাহিত জীবনে ওঠা ঝড় যেমনভাবে সামলেছে ঊর্মি, এবার তেমনটা করতে আরও একধাপ এগিয়ে গেল সে।
একদিকে যখন দর্শক ধন্দে ছিল, এবার বোধহয় সাত্যকিকে বিশ্বাস করবে না ঊর্মি, তখন সকলকে ভুল প্রমাণ করে দিল নায়িকা। কোর্টে দাঁড়িয়ে যখন সাত্যকির বিরুদ্ধে একেরপর এক মিথ্যা অভিযোগ তুলছে বিরোধী পক্ষের উকিল, তখন প্রতিবাদী ঊর্মি সাফ জানায়- ‘আমাকে যদি এই পৃথিবীর কেউ এসে বলে যে আমার স্বামী কারুর শ্লীলতাহানি করেছেন আমি বিশ্বাস করব না। এমনকী উনি নিজেও যদি বলেন তাহলেও বিশ্বাস করব না’।
অন্যদিকে ইতিমধ্যেই সামনে এসেছে ধারাবাহিকের নতুন প্রোমো। সেখানে দেখা যাচ্ছে সাত্যকির হয়ে যখন কোনও উকিল লড়তে রাজি নয়, তখন প্রথমবারের জন্য নিজের আইনের ডিগ্রীকে কাজে লাগাতে চলেছে ঊর্মি। আসলে উর্মীর কাকা,মামনীর কাছে বিকিয়ে গিয়ে এই কেস মাঝ পথেই ছেড়ে দেয় সাত্যকির উকিল, এমনকি অন্য কোনও আইনজীবী এই কেস হাতে নিতে রাজি নয়। এরপর উকিল বেশে কোর্টে হাজির হবে ঊর্মি, বরের নামে উঠা মিথ্যা অভিযোগ সবার সামনে প্রমাণ করেই ছাড়বে ঊর্মি। ‘আমি তোমাকে নির্দোষ প্রমাণ করবই টুকাই বাবু, প্রমিস’, আদালতে পৌঁছে স্বামীর উদ্দেশে এই বার্তাই দিল সে।
কেমনভাবে এই মিথ্যা অভিযোগের জাল থেকে স্বামীকে বার করে আনবে ঊর্মি? ধারাবাহিকের আসন্ন এপিসোড নিয়ে রীতিমতো উত্তেজিত ফ্যানেরা।