‘ময়ূরপঙ্খী’ ধারাবাহিকের মাধ্যমে বাঙালি দর্শকদের নজর কেড়েছিলেন সৌম্য মুখোপাধ্যায়। স্টার জলসার এই নায়ক পরবর্তীতে বড় পর্দা ভাগ্য পরীক্ষা করেন। অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়ের ‘প্রেম টেম’ ছবির মাধ্যমে টলিউডে আত্মপ্রকাশ। সম্প্রতি রানি মুখোপাধ্যায়ের অনস্ক্রিন দেওরের চরিত্রে ‘মিসেস চ্যাটার্জি ভার্সেস নরওয়ে’তে অভিনয় করেছেন তিনি। শুক্রবার মুক্তি পেয়েছে সৌম্য অভিনীত ‘চিনি ২’।
চিনি ২ স্যামি আদতে কেমন?
পরিচালক মৈনাক ভৌমিকের ‘চিনি’র ‘থিম্যাটিক সিক্যুয়েল’ এই ছবি। মধুমিতা ও অপরাজিতা ছাড়া একদম নতুন কাস্টিং নজরে এসেছে ‘চিনি ২’তে। যার অন্যতম সৌম্য মুখোপাধ্যায়। ছবিতে স্যামির চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি, তবে চরিত্র নিয়ে খুব বেশি খোলসা করতে না-রাজ। হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে জানালেন, ‘আমি একা কিন্তু নতুন সদস্য নয়, অনিবার্ণদাও রয়েছেন। দারুণ অভিজ্ঞতা। মৈনাকদা শুরুতেই বলে দিয়েছিল আগের গল্পের চেয়ে এটা একদম আলদা। চিনি ২-একদম অন্যরকম। এখানে আমার চরিত্রের নাম স্যামি। ওর জীবনের ক্রাইসিস রয়েছে, খুব মিষ্টি ছেলে। খুব মজা করে কাজটা করেছি।’
চিনির নায়ক সৌরভ দাসের সঙ্গে তুলনা
‘চিনি’তে মধুমিতার নায়ক ছিলেন সৌরভ দাস। নজর কেড়েছিলেন তাঁদের রসায়ন, কিন্তু কোনওরকম প্রতিযোগিতায় যেতে চান-না সৌম্য। জানালেন, ‘আমাদের গানটা তো খুবই জনপ্রিয় হয়েছে। লোকজন অনেক রিল বানিয়েছে। চিনি আর স্যামির রসায়ন কতটা জমজমাট সেটার ঝলক রয়েছে গানে, বাকিটা বড় পর্দায়। চিনি-তে সৌরভদা আর মধুমিতার যে ইকুয়েশন আর রসয়ান ছিল সেটার থেকে এটা একদম আলাদা। মধুমিতাও নিজের চরিত্রটা একভাবে করেনি। চিনি যখন আলাদা, নায়ক আলাদা, তখন রসায়ন তো অন্যরকম হবেই। দুটো জোড়ির মধ্যে আকাশ-পাতাল পার্থক্য রয়েছে। দর্শক যে ভালোবাসা দিচ্ছে, সেটা ভালো লাগছে। এই ছবিতে আমার লুকটা সবার খুব পছন্দ হয়েছে’।
‘মিসেস চ্যাটার্জি ভার্সেস নরওয়ে'-র পর কতটা বদল এসেছে সৌম্যর জীবনে
সৌম্য জানালেন- ‘মিসেস চ্যাটার্জি..' মুক্তি পাওয়ার আগেই আমি চিনি ২-সাইন করেছিলাম। আমি ভিন্ন রকমের চরিত্র করতে চাই। এই ছবিতে যেমন রোম্যান্স রয়েছে, তেমনই একটা কমেডির ছোঁয়া রয়েছে আমার চরিত্রে। মিসেস চ্যাটার্জি-তে ওইরকম ডার্ক একটা ক্যারেক্টর করার পর স্যামি আমার কাছে নতুন চ্যালেঞ্জ ছিল। হ্যাঁ, নতুন নতুন অফার আসছে। এই বছরই ‘পারিয়া’ আসছে। যার শ্যুটিং আর ডাবিং শেষ। তবে এটা বলতে হবে ‘মিসেস চ্যাটার্জি…'-র সুবাদে টলিউডের গণ্ডি ছাড়িয়ে অনেকে আমাকে চিনিছে। একটা আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমেও আমার পারফরম্যান্সের প্রশংসা করা হয়েছিল। তাতে সন্তুষ্ট। বলিউডে নিয়মিত অডিশন পর্ব চলছে। এই ছবি আমাকে প্ল্যাটফর্ম দিয়েছে।
মধুমিতার সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা
আমরা একে অপরের ভালো বন্ধু হয়ে গিয়েছি। ওর মধ্যে একটা আগুন আছে। ওর মধ্যে প্রত্যেকটা দৃশ্যকে আপন করে নেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে। কাজের ব্যাপারে খুব সিরিয়াস। ও তো আজকাল পাহাড়েই থাকে, পাহাড় থেকে যখন কাজের জন্য সমতলে আসে তখন অন্যরকম পার্সোনালিটি। এই ছবিতে আমাদের দেখা হওয়ার দৃশ্যটা খুব ইন্টারেস্টিং। আমি চাই হলে গিয়ে সকলে সেটা দেখুক।
সৌম্য তো প্রেম করে, মনের মানুষের সঙ্গে প্রথম দেখা কোথায় দেখা হয়েছিল?
আমাদের ছবিতে একটা গান রয়েছে। গানটায় বলা রয়েছে, ‘তুমি জানতেই পারলে না, আমি তোমায় কত ভালোবেসেছি…’। এই মুহূর্তে আমি জীবনের সেই পর্বে রয়েছে। আমি এই স্মৃতিগুলো হাতড়াতে চাইছি না। কারণ এতে সমস্যা বাড়বে। এইটুকুই বলব চিনি-র সঙ্গে মাঝেমধ্যে একটু বিটনুন লাগে।