মুক্তির আগে থেকেই চর্চায় উঠে এসেছিল হৃতিক-দীপিকা ‘ফাইটার’। কিন্তু রিলিজের পরই ফুস! ২০২৪-এ বলিউডের প্রথম বড় রিলিজ ঘিরে যতটা প্রত্যাশার পারদ ছিল, তার সিকিভাগও পূরণ করতে পারেনি ফাইটার। মুক্তির পর থেকেই বক্স অফিসে ফিকে দীপিকা-হৃতিক ম্যাজিক। দেশপ্রেমের ভাবনা ভরপুর এই ছবিতে। সমালোচক ও দর্শকদের প্রশংসা কুড়োচ্ছে টিম ফাইটার। তবুও প্রযোজকদের ভাঁড়ার ভরল না!
কচ্ছপের গতিতেই বক্স অফিসে ২৫ দিন পূর্ণ করল ফাইটার। চতুর্থ সপ্তাহে এখনও পর্যন্ত এই ছবির আয় ৫ কোটি ২০ লক্ষ টাকা। দেশের বক্স অফিসে হৃতিক-দীপিকা জুটির ছবির টিকিট বিক্রি হয়েছে মাত্র ২০৭ কোটির। চতুর্থ রবিবার ছবির আয় ছিল ২.১ কোটি টাকা। ২৬তম দিনে অর্থাৎ সোমবার ১ কোটির ঘরও ছুঁল না ছবির টিকিট বিক্রির হার। ওদিকে বিশ্ব বক্স অফিস মেলালে ২৫ দিনে এই ছবির আয় দাঁড়িয়ে ৩৩২ কোটি টাকা। ছবির লাইফটাইম কালেকশন দাঁড়াবে ৩৪০ কোটির আশেপাশে।
২০০৪ সালের ‘বচনা অ্যায় হাসিনো’ এবং ২০২৩ সালের ব্লকবাস্টার ‘পাঠান’-এর পর সিদ্ধার্থ আনন্দের সঙ্গে দীপিকার তৃতীয় ছবি এটি। হৃতিক রোশনের সঙ্গেও সিদ্ধার্থ আনন্দের এটি তৃতীয় সিনেমাও। ব্যাং ব্যাং,ওয়ার -এর পর ফাইটার নিয়ে হাজির তাঁরা। ২৫০ কোটি বাজেটে তৈরি এই ছবি তৈরি ও প্রচারের খরচ তুলতেই হিমহিম খাচ্ছে।
ই ছবিতে স্কোয়াড্রন লিডার শামশের পাঠানিয়া ওরফে প্যাটির চরিত্রে রয়েছেন হৃতিক। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে হৃতিককে টেক্কা দিতে তৈরি দীপিকা। ছবিতে স্কোয়াড্রন লিডার মিনাল রাঠোর ওরফে মিন্নির ভূমিকায় রয়েছেন তিনি। এছাড়াও ছবিতে দেখা মিলেছে অনিল কাপুর, করণ সিং গ্রোভারদের।
পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের বালাকোট শহরের আশেপাশে থাকা জঙ্গি শিবিরগুলিতে ভারতীয় সেনার পক্ষ থেকে করা হয়েছিল এয়ার স্ট্রাইক। যা আসলে ছিল, জম্মু ও কাশ্মীরে সেনা কনভয়ের উপর হওয়া সন্ত্রাসী হামলার প্রতিশোধ নিতে। সেই হামলায় প্রায় ৪০ জন সিআরপিএফ জওয়ান প্রাণ হারিয়েছিল। সেই ঘটনা নাড়িয়ে দিয়েছিল ভারতকে। সন্ত্রাসী সংগঠন জইশ-ই-মোহাম্মদের (জেএম) বৃহত্তম শিবিরের বিরুদ্ধে বিমান হামলা করা হয়েছিল সেনার তরফে। আর সেই সত্যি ঘটনাই উঠে এসেছে সিদ্ধার্থ আনন্দের সিনেমায়।
হৃতিকের কেরিয়ারের সবচেয়ে বড় হিট ওয়ার (৩১৮ কোটি) এবং কৃষ (২৪৪ কোটি)। ‘ফাইটার’ ঘিরে আশায় বুক বেঁধেছিলেন হৃতিক ভক্তরা। বিশেষত নায়কের আগের ছবি ‘বিক্রম বেদা’র ভরাডুবির পর, কিন্তু এবারও হাতে এল হতাশা।