চলচ্চিত্র নির্মাতা বনি কাপুরের বেভিউ প্রজেক্টস এলএলপি এবং ভুটানি গ্রুপ যৌথভাবে নয়ডা বিমানবন্দরের কাছে সেক্টর ২১-এ ফিল্ম সিটি প্রকল্প তৈরি করতে উদ্যোগ নিয়েছে। বনির বেভিউ প্রজেক্টস এলএলপি-র সঙ্গে এই প্রোজেক্টের নিলামে সামিল হয়েছিল কেসি বোকাডিয়ার লায়ন্স ফিল্মস প্রাইভেট লিমিটেড, অভিনেতা অক্ষয় কুমারের সুপারসনিক টেকনোবিল্ড প্রাইভেট লিমিটেড এবং টি-সিরিজের সুপার ক্যাসেটস ইন্ডাস্ট্রিজ প্রাইভেট লিমিটেড। তবে জিতে নেন বনি-ই।
মঙ্গলবার যমুনা এক্সপ্রেসওয়ে শিল্প উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের আধিকারিকদের কমিটি জমা পড়া আবেদন খুলতে গিয়ে দেখে যে, বেভিউ প্রজেক্টস এলএলপি এবং ভুটানি গ্রুপ সরকারকে লাভের সর্বোচ্চ ১৮ শতাংশ ভাগ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে সর্বোচ্চ দরপত্র দিয়েছে। কেসি বোকাদিয়া-র লায়ন্স ফিল্মস প্রাইভেট লিমিটেড ১৫.১২ শতাংশ, অভিনেতা অক্ষয় কুমারের সুপারসনিক টেকনোবিল্ড প্রাইভেট লিমিটেড ১০.৮০ শতাংশ এবং টি-সিরিজের সুপার ক্যাসেটস ইন্ডাস্ট্রিজ প্রাইভেট লিমিটেড ৫.১২ শতাংশের দরপত্র জমা দিয়েছিল।
‘নির্ধারিত নিয়ম অনুসারে যে সংস্থা সর্বাধিক পরিমাণ লাভের ভাগ দেবে, তারাই নির্বাচিত দরদাতা হিসাবে বিবেচিত হবে এবং বেভিউ প্রজেক্টস এলএলপি প্রক্রিয়াটিতে অন্য তিনজন দরদাতাকে পিছনে রেখে সর্বোচ্চ দর দিয়েছে। এখন আমরা পরবর্তী প্রয়োজনীয় পদ্ধতির জন্য রাজ্য সরকারের কাছে অনুমোদনের জন্য প্রেরণ করব’, জানিয়েছেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা অরুণ বীর সিং।
২০২১ সালের ২৩ নভেম্বর ফিল্ম সিটি ডেভেলপার সিলেকশনের জন্য গ্লোবাল টেন্ডার ইস্যু করলেও প্রকল্পটি হাতে নিতে কেউ এগিয়ে আসেনি। এরপর ২০২২ সালের ৭ নভেম্বর আগ্রহী চলচ্চিত্র নির্মাতাদের কাছ থেকে দরপত্র আহ্বান করে গ্লোবাল টেন্ডার জারি করা হয়েছিল। তাতেও কেউ আসেনি। এরপর ২০২৩ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর তৃতীয়বারের মতো টেন্ডার দেয়। এবং বিড করার শেষ তারিখ রাখা হয় ৫ জানুয়ারি, ২০২৪। যাতে আবেদন করে উপরিউল্লিখিত চারটি সংস্থা।
ফিল্ম সিটি হাজার একরের বেশি জমির উপর তৈরি করা হবে। এরমধ্যে ২২০ একর বাণিজ্যিক ব্যবহারের জন্য এবং ৭৮০ একর শিল্প ব্যবহারের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে প্রথম ধাপে ২৩০ একর জমিতে ফিল্ম সিটির উন্নয়ন করবে ডেভেলপার।