বনি-কুণালের বিয়ে মেনে নিতে পারছে না সিংহ রায় পরিবার। ব্যবসায়িক দিক থেকেও ক্ষতিগ্রস্ত তারা। এ হেন অবস্থায় ফের কাঠগড়ায় তোলে খড়িকে। স্ত্রীর কোনও কথাই এখনও বিশ্বাস করতে পারছে না সে।
বাড়ির চৌকাঠে দাঁড়িয়ে নবদম্পতি। নিয়মরীতি মেনে নতুন বৌকে ঘরে তোলার পালা। কিন্তু সে সব আর হল কোথায়! আচমকাই বাড়িতে এসে উপস্থিত সংবাদমাধ্যম। নানা প্রশ্নের মুখে পড়ে ঋদ্ধিমান। আঙুল তোলা হয় কুণাল এবং বনির দিকেও। নানা কটাক্ষ ভেসে আসে তাদের চরিত্র নিয়ে। রুখে দাঁড়ায় খড়ি জানায়, একজনের ষড়যন্ত্রে পা দিয়ে বাধ্য হয়ে বোনের সঙ্গে দেওরের বিয়ে দেয় সে। কিন্তু তাতেও লাভ হয় না। ঋদ্ধিমান তখনও স্ত্রীকে বিশ্বাস করতে নারাজ।
এর পরেই বনিকে ঘরে নিয়ে আসার বন্দোবস্ত করার নির্দেশ দেয় ঋদ্ধির ঠাকুমা কুমুদিনি। খড়িও সেই ব্যবস্থা করতে যায়। আর তখনই মেজাজ হারিয়ে আলতার শিশি ভেঙে ফেলে বৃদ্ধি। বলে, বনিকে এই বাড়িতে আনতে হলে ওই কাঁচের টুকরোর উপর দিয়ে হেঁটেই যেতে হবে খড়িকে। ঋদ্ধির কথা মতো তা-ই করে খড়ি। পায়ে আঘাত লাগে তার। স্ত্রীর ক্ষততে আবার ওষুধ লাগে ঋদ্ধি স্বয়ং। জানায়, এ রকম আরও অনেক আঘাত পেতে হবে খড়িকে।
দু'জনের দূরত্ব কি তবে মুছবে না? ঋদ্ধির চোখে দোষী হয়ে থাকবে খড়ি? এখন সেটাই দেখার।