চর্চায় কাঞ্চন-শ্রীময়ীর রিসেপশন। ৬ মার্চ, বুধবার সেই অনুষ্ঠান হয়েছে কলকাতার ক্যামাক স্ট্রিটের বহু পুরনো হোটেল 'গ্যালেরিয়া ১৯১০'-তে। তারই দরজায় কাঞ্চন-শ্রীময়ীর রিসেপশনের প্রবেশস্থলে বড় করে লেখা ছিল 'Please! Press And Personal Security And Drivers Are Not Allowed. Inconvenience Is Regretted'। অর্থাৎ এর বাংলা তর্জমা করলে দাঁড়ায় অনুষ্ঠানে সংবাদমাধ্যম আর ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী, ড্রাইভারদের প্রবেশ নিষেধ।
এধরনের নিষেধাজ্ঞা যে অত্যন্ত বৈষম্যমূলক। এমনই অভিযোগে মুখর হয়েছেন অনেকে। এই ঘটনা ঘিরে বেজায় বিরক্ত অনেকেই। শুরু হয়েছে বিতর্ক। যদিও কাঞ্চন দাবি করেছেন, তিনি এই বিষয়টা নিয়ে বিন্দুমাত্র কিছুই জানেন না। এটা তাঁর সিদ্ধান্ত নয়। বিতর্কে বিরক্ত কাঞ্চন বলেন, ‘আমাকে কেন বারবার টার্গেট করা হচ্ছে জানি না। সকলেই আপনারা আমাদের রিসেপশন কার্ড দেখেছেন। সেখানে কোথাও লেখা নেই যে সংবাদমাধ্যম, ড্রাইভার বা দেহরক্ষীদের ঢুকতে দেওয়া হবে না। এটা আমার শিক্ষা নয়। সহবত নয়। আসলে এটা ভেন্যু কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত। ওখানে ২০০ লোক ধরে। তাই ওঁরা ঠিক করে সেখানে ৪০০ জনকে তাঁরা জায়গা দিতে পারবে না।’
কাঞ্চন আরও বলেন, তাঁরা বলেছিলেন, আমন্ত্রিতদের সঙ্গে যাঁরা আসবেন, তাঁরা ১তলায় যেন অপেক্ষা করেন, আর আমন্ত্রিতরা উপরে উঠে আসবেন। ভ্যেনুতে গেস্ট লিস্টেরও ব্যবস্থা ছিল। কাঞ্চন বলেন, 'এটাই বলা হয়েছিল, ওঁরা কী বুঝে কী লিখেছেন, আমি জানি না। তারপরও বলছি, যদি খারাপ লাগে, তাহলে আমি আন্তরিকভাবে ক্ষমাপ্রার্থী।'
কিন্তু কাঞ্চন এই দাবি করলেও অন্যকথা-ই বলছে 'গ্যালেরিয়া ১৯১০'-কর্তৃপক্ষ। তাঁদের তরফে টিভি9 বাংলাকে জানানো হয়, ‘আজও অনুষ্ঠান রয়েছে এখানে, দেখুন তো এধরনের কিছু লেখা আছে কিনা। আমাদের হল ভাড়া নেওয়া হয়েছিল, আর তাই যা নির্দেশ ছিল তাই লিখেছি। লেখার বয়ান হোস্টের থেকেই এসেছে।’
'গ্যালেরিয়া ১৯১০'-তরফে সাফ জানানো হয়, কাল যদি কোনও বডিগার্ড, ড্রাইভার ঢোকার চেষ্টাও করত তাঁরা বাধা দিতেন না। সমাজের কোনও শ্রেণির মানুষের সঙ্গেল বৈষম্যমূলক আচরণ তাঁরা সমর্থন করেন না।
অর্থাৎ বিতর্ক যখন চরমে তখন চলেছে একে অপরের ঘাড়ে দোষ চাপানোর পর্ব। তবে যে যাই বলুন না কেন বিতর্ক কিন্তু এখনও থামেনি।