ফের একবার সিধু মুসেওয়ালা কাণ্ডের পুনারাবৃত্তির চেষ্টা। পঞ্জাবি গায়ক গিপ্পী গ্রেওয়ালের বাড়ি লক্ষ করে গুলি চালালো দুষ্কৃতীরা। শনিূবার কানাডার ভ্যাঙ্কভারের হোয়াইট রক অঞ্চলের ঘটনা। ঘটনায় উদ্ধিগ্ন সেদেশের পুলিশ প্রশাসন। এদিকে এই ঘটনা তারাই ঘটিয়েছে বলে দাবি করেছেন গ্য়াংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই।
প্রসঙ্গত পঞ্জাবি গায়ক গিপ্পী গ্রেওয়াল আবার সলমন খানকে নিজের ভাই-এর মতোই মনে করেন। তাই ফেসবুক পোস্টে লরেন্স বিষ্ণোই-এর তরফে লেখা হয়েছে, ‘সলমন খানের সঙ্গে আপনার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক, তে সে সম্পর্ক আপনাকে রক্ষা করবে না। দেখি আপনার 'ভাই'-এসে আপনাকে কীভাবে বাঁচায়। এই বার্তাটি সলমন খানের জন্যও দেওয়া হচ্ছে। দাউদ ইব্রাহিম আপনাকে আমাদের নাগাল থেকে রক্ষা করতে পারবে না। তাই এমন চিন্তা করে বোকামো করবেন না।’
আরও পড়ুন-'বাংলাদেশের বহু মানুষ ভারত বিদ্বেষী', মন্তব্যের পর নিজের দেশে বয়কটের মুখে চঞ্চল চৌধুরী!
আরও পড়ুন-‘ছেলের বিয়ে দিয়ে শাশুড়ি কবে হবি?’ রচনাকে এ কেমন প্রশ্ন মানসীর! উত্তর এল…
লরেন্স আরও লিখেছেন, ‘সিধু মুসেওয়ালার মৃত্যুর পর তোমার নাটকীয় মন্তব্য সকলেই জানেন। ও (সিধু) কেমন মানুষ ছিল তা আমরা সকলেই জানি। আমরা ওর চরিত্র এবং ওর অপরাধমূলক কাজকর্ম সম্পর্কে ভালভাবে অবগত।’ তবে গিপ্পী গ্রেওয়ালের বাড়ির সামনে এই গুলি চালনার ঘটনাকে নেহাতই প্রথম ঝলক বলে দাবি করেছেন লরেন্স বিষ্ণোই। গিপ্পীর উদ্দেশ্য লরেন্স আরও লিখেছেন, ‘তুমি যে কোনও দেশেই আশ্রয় নিতে পারো, তবে মৃত্যুর জন্য ভিসা লাগে না।’
তবে এই হামলার ঘটনার পরি পঞ্জাবি গায়ক গিপ্পী গ্রেওয়াল কোনও প্রতিক্রিয়া জানাননি। প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে সলমনের ছবির গায়িকা জেসমিন স্যান্ডলাসকেও খুনের হুমকি দিয়েছিল লরেন্স বিষ্ণোই-এর দলবল।
গতবছর সিধু মুসেওয়ালা হত্যা মামলায় খবরের শিরোনামে উঠে এসেছিলেন লরেন্স বিষ্ণোই। তিনি অবশ্য এই মুহূর্তেআমেদাবাদের জেলে বন্দী। তবে তারপরেও জেলে থেকেই অপরাধমূলক কার্যকলাপ চালানোর অভিযোগ রয়েছে লরেন্স বিষ্ণোই-এর বিরুদ্ধে।
দিল্লি পুলিশকে লরেন্স বলেছিলেন যে তার সম্প্রদায় সলমন খানকে ক্ষমা করবে না যতক্ষণ না তিনি একটি কৃষ্ণসার হরিণ হত্যার জন্য ক্ষমা না চাইবেন। এই হরিণ বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের দ্বারা পবিত্র বলে বিবেচিত হয়। তাঁদের সম্প্রদায় কৃষ্ণসারকে তাঁদের ধর্মীয় গুরুর পুনর্জন্ম বলে মনে করে, যা ভগবান জাম্বেশ্বর যা জামবাজি নামেও পরিচিত। তাই এর শাস্তি খালাস। আদালত রায়ই তাই এক্ষেত্রে শেষ কথা বলবে না।