বেড়েই চলেছে ক্রুষ্ণা অভিষেকে ও গোবিন্দার মধ্যে ঝামেলা। মামা-ভাগ্নের এই বিবাদের মধ্যে এবার জড়িয়ে পড়েছে দুই পরিবার। একদিকে যেমন ক্রুষ্ণা পত্নী কাশ্মীরা শাহ মুখ খুলেছেন, পাল্টা জবাবে মুহুর্মুহু তোপ দাগছেন গোবিন্দা-জায়া সুনীতা আহুজাও। তিন বছর আগে ক্রুষ্ণার স্ত্রী কাশ্মীরা শাহ-র একটি টুইট নিয়ে তোলপাড় হয়ছিল টিনসেল টাউন। ‘যে সব তারকারা পয়সার জন্য নাচে’ লিখে সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়েছিলেন কাশ্মীরা। আর যা দেখে গোবিন্দা-পত্নী সুনীতা আহুজার দাবি ছিল, গোবিন্দাকে লক্ষ করেই এই টুইট। যদিও তা অস্বীকার করেছিলেন কাশ্মীরা। এরপরেই দুই পরিবারের মুখ দেখাদেখি হয়েছে বন্ধ। সম্প্রতি, কাশ্মীরার উদ্দেশে ফের ক্ষোভ উগরে দিলেন সুনীতা। করোও নাম না তুলে বললেন, 'ঘরে খারাপ বউ তুললে তার খেসারত তো দিতে হবেই!'
কিছুদিন আগে ‘দ্য কপিল শর্মা শো’-তে অতিথি হিসেবে হাজির ছিলেন গোবিন্দা ও সুনীতা। তবে সেই পর্বের শ্যুটিং হওয়ার আগেই নিজেকে শ্যুটিং ফ্লোরের থেকে দূরে সরিয়ে নিয়েছিলেন ক্রুষ্ণা। সংবাদমাধ্যমে আগেভাগে সেকথা জানিয়েও দিয়েছিলেন তিনি। বলেছিলেন,‘আমার বিশ্বাস দু' তরফেই একসঙ্গে স্টেজ শেয়ার করতে চায় না।’ আর ততই যেন আগুনে ঘি পড়েছিল। কোনও রাখঢাক না করেই ‘আগেরবারও আমরা যখন কপিলের শো-তে গিয়েছিলাম ও ছিল না। কিন্তু সেই এপিসোডও হিট হয়েছিল। জানি এটাও হবে। ও ছাড়া শো চলবে না এমনটা তো নয়। গোবিন্দা আগের বছরই অফিসিয়ালি জানিয়ে দিয়েছে পারিবারিক বিষয় নিয়ে ও কথা বলবে না মিডিয়ার সামনে। সেখানে ক্রুষ্ণার তরফে বারবার একই কাজ করা হচ্ছে।’
আসলে মাত্র কয়েকদিন আগেই এই গোটা বিষয়টি নিয়ে আজ তক-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বোমা ফাটিয়েছিলেন কাশ্মীরা। বেশ ঝাঁঝের সঙ্গেই জানিয়েছিলেন, 'লোকজন' ক্রুষ্ণাকে নিয়ে ফালতু কথা রটাচ্ছে। এমনও তো হতে পারে শোয়ের ওই নির্দিষ্ট এপিসোড ক্রুষ্ণাকেই প্রয়োজন ছিল না শো কর্তৃপক্ষের। আর একটা কথা, আমাকে আমরা প্রিয়াঙ্কা চোপড়া, ক্যাটরিনা কইফ এঁদের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করুন। কে এই সুনীতা?'
'কে এই সুনীতা?' মন্তব্য শুনেই রেগে অগ্নিশর্মা হয়েছেন গোবিন্দা-পত্নী। যদিও সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন তাঁর এইসব বাজে কথার জবাব দেওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই। সময়ও নেই। গত ৩৬ বছর ধরে গোবিন্দার সঙ্গে ঘর করছেন তিনি। তাঁর সমস্ত কাজকর্ম একা হাতে সামলাচ্ছেন তিনি। ব্যস্ততার মধ্যেই দিন কাটে তাঁর। তবে সঙ্গে এও বললেন, ' শুধু এটুকু বলব ফরে খারাপ বউ তুললে তো তার খেসারত তো দিতেই হবে। এটুকুই। আর ক্রুষ্ণাকে নিজের ছেলের মতো মানুষ করেছি। আমার শাশুড়ি মারা যাওয়ার পর যদি ওদেরকে না রাখতাম, তাহলে কী হত? যার জন্য তোরা বড় হলি, তাঁকে নিয়েই সমালোচনা করছিস আজকে। তাই মা ও ছেলের ঝগড়ার মধ্যে বাইরের লোক হয়ে মাথা ঘামানো কেন হচ্ছে সেটাই মাথায় ঢুকছে না আমার'।