হৃতিক রোশন আর সাবা আজাদের প্রেম সম্পর্ক এখন খুল্লমখুল্লা। প্রেমের আদরে-চাদরে মাখামাখি করে ছবি দিতেও পিছপা হন না দুজনে। প্রেম দিবসে কোনও রোম্যান্টিক ছবি নয়, সাবার বদলে ক্রচকে আঁকড়ে ধরে ছবি দিলেন হৃতিক রোশন। যা দেখে উদ্বিগ্ন অনুরাগীরা। কী হয়েছে নায়কের? কী করে আহত হলেন বলিউডের গ্রিক গড? নিজেই খোলসা করেছেন হৃতিক।
সম্প্রতি ফাইটার ছবিতে দেখা মিলেছে নায়কের। দেশের প্রথম ‘অ্যারিয়াল অ্যাকশন’ ছবি এটি। এই ছবির জন্য শরীরকে নির্দিষ্ট আকার দিতে ঘন্টার পর ঘন্টা জিমে কাটিয়েছেন হৃতিক। খাবার খেয়েছেন মেপে, তবুও কাঙ্খিত সাফল্য আসেনি। মন খারাপের মাঝেই কীভাবে চোট পেলেন নায়ক? পেশিতে টান লাগার ফলে ক্রাচ সঙ্গী হৃতিকের। হাঁটতে পারছেন না ভালোভাবে। অগত্যা ক্রাচই ভরসা।
এদিন এলোমেলো চুল, গাল ভর্তি দাঁড়িতে দেখা মিলল হৃতিকের। পরনে হাফ প্যান্ট। কোমরে রয়েছে সাপোর্ট বেল্ট। এদিন এই ছবি শেয়ার করে পুরুষদের নিয়ে জরুরি বার্তা দেন হৃতিক। বলেন, পুরুষেরা অনেক সময় শক্ত দেখাতে গিয়ে নিজের স্বাস্থ্যের কথা ভাবেন না। উদাহরণ হিসেবে নিজের দাদু ও বাবার কথাও উল্লেখ করেন।
হৃতিক তাঁর পোস্টে লেখেন, ‘জানি না, আপনাদের কত জনের ঠিক হুইলচেয়ারে বসে বা ক্রাচ নিয়ে হাঁটার অভিজ্ঞতা রয়েছে। আমি আমার ঠাকুরদাকে দেখেছি। শারীরিক কষ্ট রয়েছে। তবু হুইলচেয়ারে বসবেন না।’
হৃতিক লেখেন, ‘আমার মনে আছে আমার দাদা (ঠাকুরদা) বিমানবন্দরে হুইলচেয়ারে বসতে অস্বীকার করেছিলেন কারণ এটি তার নিজের শক্তিশালী ইমেজের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে না। আমার মনে আছে আমি বলেছিলাম, দাদা এটা কেবল একটি আঘাত এবং আপনার বয়স কত তার সাথে এটার যোগ নেই। হুইলচেয়ার আপনার আঘাত নিরাময়ে সহায়তা করবে এবং আরও ক্ষতি করা থেকে রক্ষা করবে। বিব্রতবোধ লুকানোর জন্য তাকে কতটা শক্তিশালী হতে হবে তা দেখে আমি খুব দুঃখ পেয়েছিলাম। আমি ব্যাপারটা বুঝতে পারছিলাম না। আমি যুক্তি দিয়েছিলাম যে বয়সের ফ্যাক্টরটি প্রযোজ্য নয় কারণ তার আঘাতের জন্য হুইলচেয়ারটি দরকার, তার বয়সের জন্য নয়। তিনি প্রত্যাখ্যান করেছিলেন…’।
পুরুষ মানেই শক্তিশালী.. ‘মরদো দরদ নেহি হোতা’ এই ধারণা ভ্রান্ত- অকপটে বলেন হৃতিক। তিনি আরও বলেন, ‘পুরুষরা শক্তিশালী। কিন্তু আপনি যদি বলেন সৈনিকদের ক্রাচের প্রয়োজন হয় না এবং এমনকি যখন তারা অসুস্থ হলেও কেবলমাত্র নিজেদের শক্তিশালী প্রমাণ করতেই সেটি প্রত্যাখ্যান করতে হবে, তাহলে বলব এটা মূর্খতা’। ক্রাচ বা হুইলচেয়ারের সাহায্য গ্রহণ করা কোনও অক্ষমতা বা দুর্বলতা নয় সাফ কথা হৃতিকের।
কিন্তু আসলে কী হয়েছে হৃতিকের? অভিনেতা জানান গতকাল ঘুম থেকে উঠে তিনি দেখেন পায়ের পেশিতে খিঁচ লেগেছে। ক্রাচ বা হুইলচেয়ারের ব্যবহার নিয়ে পুরুষদের আঁতে ঘা লাগার বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে চেয়েছেন নায়ক, তাঁর কথায় ক্রাচগুলি কেবল একটি রূপক। বাকিটা নিজেরাই বুঝে নিন।
হৃতিকের পেশিতে খিঁচ লাগার ঘটনার এমন বিস্তারিত ব্যাখা দেখে কী বলছেন তারকারা? টাইগার শ্রফ থেকে বিশাল দদলানি, নীল নিতিন মুকেশ সকলেই ‘গেট ওয়েল সুন’ বার্তা দিয়ছেন অভিনেতাকে। সবচেয়ে আদুরে বার্তা এল সাবার তরফে। হৃতিককে একরাশ ভালোবাসা পাঠিয়ে প্রেমিকা লেখেন, ‘My love you a giant if I ever seen one’।
২০০০ সালে ভালোবেসে সুজান খানকে বিয়ে করেছিলেন হৃতিক, তবে ১৪ বছর পর ভেঙে যায় সেই বিয়ে। যদিও প্রাক্তন স্ত্রীর সঙ্গেও বন্ধুত্ব অটুট হৃতিকের। বছর খানেক ধরেই ১৭ বছরের ছোট সাবার সঙ্গে সম্পর্কে রয়েছেন হৃতিক।