অরিজিৎ সিং শুধু গায়ক নন, অনেকের কাছেই অরিজিৎ মানে আবেগের আরেক নাম। কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারীর নয়নের মণি মুর্শিদাবাদের ভূমিপুত্র। তাঁর গান শুনতে হাজার হাজার টাকার টিকিট কাটতেও পরোয়া করেন না অনুরাগীরা। সেরা প্লে-ব্যাক গায়কের একের পর এক পুরস্কার অরিজিতের ঝুলিতে, অথচ সেই অরিজিতের সমালোচনাতেই সরব হলেন বলিউডের বর্ষীয়ান গায়িকা অনুরাধা পড়োয়াল।
হিন্দি মিউজিক ইন্ডাস্ট্রির অতিপরিচিত নাম অনুরাধা পড়োয়াল। ১৯৭৩ সালে ‘অভিমান’ ছবির সঙ্গে সঙ্গীতসফর শুরু হয়েছিল তাঁর। আশি ও নব্বইয়ের দশকের অন্যতম সেরা গায়িকা হিসাবেই স্বীকৃত তিনি। প্লে-ব্য়াক সিঙ্গিংয়ের পাশাপাশি ভক্তগীতি গেয়েও শ্রোতাদের মন জিতেছেন অনুরাধা পড়োয়াল। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বলিউডের রি-মিক্স ট্রেন্ড নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন গায়িকা। অনুরাধা জানান, অরিজিতের গলায় ‘আজ ফির তুমপে’ গানের রিমিক্স শুনে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন তিনি। কেঁদেও ফেলেন।
‘দয়াবান’ (১৯৮৮) ছবিতে লক্ষ্মীকান্ত-প্যারেলালের কম্পোজিশনে ‘আজ ফির তুম পে’ গেয়েছিলেন অনুরাধা এবং পঙ্কজ উদাস। ২৬ বছর পর ‘হেট স্টোরি ২’ ছবিতে এই গানের রি-মিক্স ভার্সন গান অরিজিৎ। যা মোটেই মনে ধরেনি অনুরাধার।
অনুরাধা জানান, অরিজিতের রিমেক গানটি শুনতে তার এতটাই খারাপ লেগেছিল যে সেটি ভুলতে নিজের গাওয়া গানটি বার কয়েক শুনতে হয় তাঁকে। গায়িকা বলেন, ‘আমি মাঝেমধ্যে নিজের গান শুনি। কিন্তু সেগুলি ভক্তিগীতি। কিন্তু তা ছাড়াও কখন নিজের গান শুনি জানেন? যখন নিজের গানের রিমেক শুনে আতঙ্কিত হয়ে পড়ি এবং কান্না পায় তখন শুনি।’ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে গায়িকা বলেন, ‘তখন মনে হয় এটা কী অসাধারণ গান’। অরিজিতের গানের উদাহরণ টেনে তিনি যোগ করেন, ‘আমাকে একজন বলেছিল দয়াবানের গানটার রিমিক্স ভার্সন শুনতে। এটাও বলে গানটা নাকি দারুণ জনপ্রিয় হয়েছে। আমি কেঁদে ফেলেছিলাম ওটা শুনে, আমি শীঘ্রই ইউটিউবে গিয়ে অরিজিন্যাল গানটা শোনা শুরু করি বারংবার। তারপর মনে শান্তি ফিরে পেলাম’।
‘আশিকী’, ‘দিল হ্যায় মানতা নেই’, ‘তেজাব’, ‘রাম লক্ষ্মণ’-এর মতো একাধিক সুপারহিট ছবির চার্টবাস্টার গান গেয়েছেন অনুরাধা পড়োয়াল। হিন্দির পাশাপাশি বাংলা, কন্নড়, নেপালি, তামিল-সহ একাধিক ভাষায় গান গেয়েছেন বর্ষীয়ান শিল্পী।