নোবে দাবি, সে বাবা হতে চলেছে অথচ এই বিষয় নিয়ে কিছুই জানে না স্ত্রী! এমনটাও সম্ভব? আসলে বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা গায়ক নোবেল যদি এমন দাবি করেন তাহলে বোধহয় সবটাই সম্ভব। দু-দিন আগেই মঈনুল আহসান নোবেল ফেসবুকে পোস্টে লিখেছিলেন, তিনি ও তাঁর স্ত্রী খুব সম্ভবত বাবা-মা হতে চলেছেন। এই পোস্ট লিখে ব্যাপক ট্রোলডও হয়েছিলেন নোবেল। এমন সুখবরের সঙ্গে হয়তো শব্দ যোগ করার মাথামুন্ডু বুঝে উঠতে পারেননি অনেকেই। তবে বুধবার এই নিয়ে বোমা ফাটালেন নোবেলর স্ত্রী, মেহরুনা সালসাবিল।
সোমবার নোবেল নিজের ফেসবুকের দেওয়ালে লিখেছিলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ। হয়তো আমরা মা-বাবা হতে চলেছি। আমি এবং আমার সহধর্মিণীর জন্য দোয়া করবেন'। দু-দিনের মাথায় ফেসবুকে লাইভে এসে স্বামীর মিথ্যাচার নিয়ে প্রতিবাদ জানালেন মেহরুনা সালসাবিল।তিনি সাফ বলেন, 'আমি প্রেগন্যান্ট নয়, আমি নোবেলের স্টেটাস দেখে জানলাম আমি নাকি মা হতে চলেছি! এ ব্যাপারে আমি নোবেলের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছি কিন্তু সে করেনি। সে কেমন এমনটা করলো আমি জানি না। আমি প্রেগন্যান্ট নই। মাতৃত্বের বিষয়টি সে কোনোভাবেই ব্যবহার করতে পারে না। ’
নোবেলের স্টেটাস দেখে পরিবার,বন্ধুরা সকলে মেহরুনাকে অভিনন্দন জানাচ্ছে, কিন্তু এই বিষয় নিয়ে মর্মাহত সে। গায়কের স্ত্রীর কথায়, 'মাতৃত্ব একটা সংবেদনশীল বিষয়, সেটাকে পাবলিসিটি স্ট্যান্ট হিসাবে ব্যবহার করাটা অপরাধ। যেহেতু সে (নোবেল) আমার কাছের মানুষ, তাই সে যদি এমন কিছু করে থাকে তাহলে আমি লজ্জিত। আমার জানা নেই কেনো বলা হয়েছে যে হয়তো আমি প্রেগন্যান্ট! এ মিথ্যাচারের ঘটনায় আমি সত্যি লজ্জিত'।
মেহরুনা সালসাবিল স্পষ্ট জানান, মা হওয়ার ব্যাপারে কোনও ইঙ্গিত পর্যন্ত স্বামীকে তিনি দেননি। নোবেল পত্নী বলেন, ‘আমি বোধহয় বাংলাদেশের প্রথম মেয়ে যে লাইভে এসে এমন একটা সেনসেটিভ বিষয় নিয়ে কথা বলছে, বলছে আমি প্রেগন্যান্ট নয়’। মাতৃত্বকে পাবলিসিটি স্ট্যান্ট হিসাবে ব্যবহার করলে, নোবেলকে তিনি ক্ষমা করবেন না বলে জানান মেহরুনা সালসাবিল। তাঁর সাফ কথা, 'একটা মেয়ের জন্য প্রেগন্যান্সি কি সেটা একটা মেয়েই জানে, এটা নিয়ে মিথ্যা রটানো অপরাধের পর্যায়ে পড়ে'।
২০১৯ সালের ১৫ নভেম্বর মেহরুবা সালসাবিলকে বিয়ে করেছিলেন নোবেল। যদিও দুজনের এই ভুল বোঝাবুঝির কারণ বুঝে উঠতে পারছেন না নেটিজেনরা!