টলিউড অভিনেত্রীর ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত প্রেমিকে গ্রেফতার করল যাদবপুর থানার পুলিশ। জানা গিয়েছে, প্রেমিকের ফোন কলের লোকেশন ট্র্যাক করে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। গত ৯ জুলাই প্রকাশ্যে আসে টলিউড অভিনেত্রীর ধর্ষণের এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটা। এরপর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় হইচই পড়ে যায়। তদন্তে নামে যাদপপুর থানার পুলিশ। অবশেষে জালে ধরা পড়ল অভিযুক্ত।
নির্যাতিতার বয়ান অনুযায়ী, ঘটনাটি ঘটেছে গত ৫ জুলাইয়। ফ্ল্যাট ফাঁকা থাকায় ওই অভিনেত্রীকে জোর করে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ,চলে শারীরিক নির্যাতন। এখানেই থেমে থাকেননি অভিযুক্ত,মোবাইল ফোনে অভিনেত্রীর অশ্লীল ভিডিয়ো রেকর্ডও করেন তিনি। এবং কাউকে কিছু জানালে সেই ভিডিয়ো ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকি দেন। গোটা ঘটনায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন অভিনেত্রী। তাঁর কথায়, আত্মহত্যা করবার কথাও ভাবেন তিনি। যদিও এক বন্ধুর সূত্রে খবর পেয়ে এক মানবাধিকার সংগঠনের কর্মীরা উদ্ধার করে তাঁকে। এরপর গত বুধবার রাতে যাদবপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়।ভারতীয় দন্ডবিধির ৩৭৬ ধর্ষণ এবং ৫০৬ ধারায় হুমকির মামলা রুজু করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত যুবক গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করে চলেছে। তার দাবি, তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে। গোটা ঘটনাটাই নাকি সাজানো। অভিযুক্তকে কোর্টে তোলা হলে তাঁকে ২ দিনের পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
অভিনেত্রী জানিয়েছেন ২০০৯ সাল থেকেই মধ্যমগ্রামের ওই যুূবকের সঙ্গে তাঁরা প্রথম পরিচয়। যদিও তারপর তেমন যোগাযোগ ছিল না। কল্যাণীর বাসিন্দা ওই তরুণী টলিগঞ্জে কাজের সুবাদে গল্ফগ্রিনের একটি বাড়িতে থাকতেন। এরপর ২০১৭ সালে যুবকের সঙ্গে ফের দেখা হয় তাঁর, এরপর দুজনের মধ্যে বন্ধুত্ব গড়ে উঠে। সেবছরই অভিনেত্রীকে প্রেমের প্রস্তাব দেন পেশায় ব্যবসায়ী ওই যুবক। এরপর থেকেই ব্যবসার আছিলায় অভিনেত্রীর কাছে টাকা নেওয়া শুরু করে সে। এরপর সম্পর্ক ভেঙে দিলেও চলতি বছর এপ্রিলে ফের সম্পর্ক নতুন করে দানা বাঁধতে শুরু করে। সম্প্রতি নাকি অভিনেত্রীর কাছে ১ লক্ষ টাকা দাবি করেছিলেন ওই যুবক। কিন্তু টাকা দিতে অস্বীকার করে ছিলেন অভিনেত্রী। এরপরেই নাকি এমন কাণ্ড ঘটান অভিযুক্ত।