হিন্দি চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি ব্যক্তিত্ব তিনি। অজস্র সুপারহিট ছবির চিত্রনাট্য, কাহিনি এবং সংলাপ লিখেছেন এই উর্দু কবি। দর্শক মহলে তাঁর সবচেয়ে বেশি খ্যাতি গীতিকার হিসাবে। এক হাজারেরও বেশি গানের কথা লিখেছেন জাভেদ আখতার।
সম্প্রতি তাঁর কলম থেকে বেরিয়ে এসেছে ‘ডাঙ্কি’র নিকলে কভি হাম ঘরসে-র মতো মন ছোঁয়া গান। সম্প্রতি এক আলোচনা সভায় যোগ দিয়েছিলেন প্রবীণ শিল্পী। তাঁর লেখা গানের সংকলন নিয়েই ছিল আলোচনা। কাব্য তাঁর রক্তে। সাতপুরুষ ধরে কবিতা চর্চা চলছে তাঁর পরিবারে। জাভেদের মতোই তাঁর সন্তানরাও শিল্প জগতের মানুষ। অনুষ্ঠানে এক ব্যক্তি জাভেদ আখতারের কাছে তাঁর দুই সন্তান ফারহান ও জোয়ার কবিতা সম্পর্কে ভালোবাসার কথা জানতে চান। অকপটে ‘কাল হো না হো’র রচয়িতা বলেন, ‘দুজনেই কবিতা লেখে, তবে ইংরাজিতে। আমি যেমন কবিতা লিখে শুরুতে লুকিয়ে রাখতাম, ওরাও তেমনটাই করে। ফারহান আমাকে শোনায়, জোয়া নিজের বন্ধুদের পড়ে শোনায়। তাঁরা আমাকে বলেছে। সে সরাসরি কোনওদিন আমাকে নিজের কবিতা পাঠ করে শোনায়নি’।
তিনি যোগ করেন, ফারহান এবং জোয়া দুজনেই নিজেদের ছবি চিত্রনাট্য নিজেরাই লেখে এবং জাভেদ আখতারের মতে মেয়ে জোয়া তাঁর চেয়েও ভালো চিত্রনাট্যকার। নিজের কেরিয়ারের দিকে ফিরে তাকিয়ে জাভেদ আখতারের উপলব্ধি, ১০ বছর মদের নেশায় ডুবে বরবাদ করেছেন তিনি। বর্ষীয়ান গীতিকার বলেন, ‘আমরা একটাই আফসোস, জীবনের ১০ বছর আমি মদের নেশায় নষ্ট করে ফেলেছি। আমি সেটা কোনও গঠনমূলককাজে লাগাতে পারতাম। কিন্তু তা করিনি,সেটার ক্ষতিপূরণ হয় না।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমি এখানে উপস্থিত তরুণদের বলতে চাই, এটা কোনও ধর্মবিশ্বাস থেকে বলছি না, নিজের বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে বলছি- যে জীবনে মদ ছোঁয়নি সে নিঃসন্দেহে তার চেয়ে ভালো যে মদ্যপান করেছে। ১৯৯১ সালের ৩১শে জুলাই আমি মদ্যপান ছেড়েদি। ওইদিন থেকে আজ পর্যন্ত আমি একবিন্দু মদ পান করিনি। আমি জীবনের সব বড় বড় ভুল যা করেছি, সবটাই মদের নেশায়। হয়ত আপনি বলবেন আমি পরিমিত মদ্যপান করি, কিন্তু কোথাউ না কোথাউ ঠিক পিছলে যাবেন’।