বুকে সংক্রমণ ও হৃদযন্ত্রের সমস্যা নিয়ে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি সঙ্গীত শিল্পী কবীর সুমন। রয়েছেন অক্সিজেন সাপোর্টে। জানা গিয়েছে, সোমবার বেলা আড়াইটে নাগাদ মেডিক্যাল কলেজের সিসিইউতে ভর্তি করা হয়েছে ‘গানওয়ালা’কে। হৃদপিণ্ডে সমস্যার জেরে বাড়িতেই অসুস্থবোধ করেন তিনি। তড়িঘড়ি তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আরও পড়ুন-রাশিদ খানের কণ্ঠে বাংলা খেয়াল শুনতে চেয়েছিলেন, উস্তাদজির মৃত্যুতে কবীর সুমন বললেন, 'আফসোস থেকে গেল'
মেডিক্যাল কলেজের সুপার স্পেশালিটি ব্লকে ভর্তি রয়েছেন শিল্পী। তাঁর চিকিৎসার জন্য গঠন করা হয়েছে বিশেষ মেডিক্যাল বোর্ড। হাসপাতাল সূত্রে খবর, বেশকিছুদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন কবীর সুমন। এদিন তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদকে। হৃদযন্ত্রে সমস্যার জেরে তীব্র শ্বাসপ্রশ্বাসের কষ্টে ভুগছিলেন গায়ক। মেডিসিন এবং হৃদরোগ (কার্ডিওলজি) বিভাগের চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে রয়েছেন কবীর সুমন। শেষ পাওয়া খবরানুসারে, প্রবীণ শিল্পীর পরিস্থিতি আপতত স্থিতিশীল। চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন ৭৫-এর গণ্ডি পার করা শিল্পী।
ভর্তির পর সুমনের বেশকিছু শারীরিক পরীক্ষা করেছেন চিকিৎসকরা, আপতত মেডিক্যাল রিপোর্টের অপেক্ষা। অক্সিজেন সাপোর্টের পর ভেন্টিলেশন সাপোর্টেও রাখা হতে পারে শিল্পী, আপতত সেই নিয়ে আলোচনা করছেন চিকিৎসকরা।
বির্তক তাঁর নিত্য-সঙ্গী। ৭৫-এর গণ্ডি পার করেও ‘তরুণ তুর্কি’ কবীর সুমন। গত বছরে নিজের জন্মদিনেই '৭৫-এ বিছানায় সক্ষম' মন্তব্য করে ব্যাপক শোরগোল ফেলেছিলেন তিনি। গত নভেম্বরেই বাংলাদেশ সফরে গিয়েছিলেন শিল্পী। বর্তমানে বাংলা খেয়াল নিয়ে কাজ করছেন কবীর সুমন। একটা সময় সক্রিয় রাজনীতির ময়দানেও পা দিয়েছিলেন শিল্পী। তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ আজও নিজেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থক বলেই পরিচয় দেন। বয়সজনিত কারণে মাঝেমধ্যেই অসুস্থ থাকেন কবীর সুমন।
এর আগে করোনাকালে শ্বাসকষ্ট ও গলায় সংক্রমণ নিয়ে এসএসকেএম হাসপাতালের উডবার্ন ওয়ার্ডে ভর্তি ছিলেন সঙ্গীতশিল্পী। সেই সময় তাঁকে দেখতে হাসাপাতালে ছুটে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিছুদিন আগেই উস্তাদ রাশিদ খানের মৃত্যু নিয়ে আক্ষেপ প্রকাশ করেছিলেন প্রবীণ শিল্পী। এই সময়কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে কবীর সুমন জানিয়েছিলেন, 'আমি ভীষণই মর্মাহত, রাশিদ খান আমার থেকে অনেকটাই ছোট ছিলেন। এত কম বয়সে আগে চলে গেলেন। আমি ৭৫ বছর বয়সেও পড়ে রইলাম। এটা সত্যি মেনে নেওয়া কঠিন। ওঁর আরও কিছুদিন থাকা উচিত ছিল। আমার সঙ্গে ওঁর কোনও আলাপ ছিল না, একসঙ্গে কাজও করিনি আমরা।'