৭৫ এ পা রেখেও তারুণ্যে ফুটছেন কবীর সুমন। আলোচনা থেকে সমালোচনা, খ্যাতি থেকে বিদ্রুপ সবেতেই তিনি বিদ্যমান। এমনই সময় তিনি আবারও একটি ছবিতে সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে কাজ করতে চলেছেন। পারমিতা মুন্সী পরিচালিত ম্যারেজ অ্যানিভার্সারি ছবিতে তিনি সঙ্গীতের দায়িত্ব সামলাবেন। এটি একটি স্বল্প দৈর্ঘ্যের ছবি। এই ছবির জন্য তিনি যেমন গান লিখেছেন তেমনই গেয়েছেন।
টলিউড নাকি তাঁর কদর করেনি। ডাক পাওয়া না পাওয়া তিনি হামেশাই অভিযোগ, অনুযোগ জানিয়েছেন। কিন্তু তেমন ভাবেই তাঁকে তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধুরা রিকোয়েস্ট করলে তিনি সেটা ফেলতে পারেন না বলেও জানিয়েছেন। আর সেটাই হয়েছে পারমিতা মুন্সীর এই ছবির ক্ষেত্রেও।
পারমিতা এবং সুমনের বন্ধুত্ব প্রায় কুড়ি বছরেরও বেশি সময়ের। পারমিতা মূলত স্বল্প দৈর্ঘ্যের ছবিই বানিয়ে থাকেন। তিনি এর আগে লাস্ট ট্রাম, গুহামানব ছবি বানিয়েছিলেন। সেখানেও সঙ্গীত পরিচালকের দায়িত্বে ছিলেন সুমন। এই বিষয়ে গায়ক আনন্দবাজারকে বলেন, 'যাঁরা আমার বিপদে আপদে পাশে থেকেছেন তাঁদের সঙ্গে কাজ করতে আমার কোনও আপত্তি নেই।'
নতুন ছবিটির বিষয় কী জানালেন কবীর সুমন? কেনই বা তিনি এই ছবিতে কাজ করার জন্য রাজি হলেন? গায়কের মতে, 'আমি আগে ছবির গল্প শুনেছি। যখন মনে হয়েছে এই ছবির জন্য আমার নতুন গান তৈরি করা উচিত তখন রাজি হই। ফলে প্রস্তাব এলেই যে আমি রাজি হবো, এমনটা কেউ ভাবলে ভুল করবেন।'
অন্যদিকে পরিচালক পারমিতাও বেজায় খুশি কবীর সুমনের সঙ্গে কাজ করতে পেরে। তাঁর কথা অনুযায়ী, 'আসলে সুমনদার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ আছে যে এমনটা নয়। কিন্তু কথা হলেই সেই দূরত্ব মিলিয়ে যায়। আমি যখন ওঁকে প্রস্তাব দিই, উনি রাজি হয়ে যান। প্রথমে উনি দুদিন ধরে ফোনে গল্পটা শোনেন এবং জানান যে নতুন গান লিখবেন। দাদা মাত্র আধ ঘণ্টায় নতুন গান লিখে আমায় পাঠিয়েছিলেন। উনি সত্যি একজন জিনিয়াস।'
ম্যারেজ অ্যানিভার্সারি ছবিতে মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করবেন দেবলীনা দত্ত, সুজন নীল মুখোপাধ্যায়, ইন্দ্রানী ঘোষ, সুজয় বিশ্বাস, প্রমুখ। জানা গিয়েছে এই ছবিটি ওটিটি মাধ্যমে মুক্তি পাবে।